• ফেছিজমের শম্ভাবনা: ডান-বামের পলিটিক্স আর পলিটিকেল বাশনায় ইছলাম

    ফেছিজমের শম্ভাবনা: ডান-বামের পলিটিক্স আর পলিটিকেল বাশনায় ইছলাম

    পলিটিকেল দুশমনি থাকবে এবং শেইটা চর্চাও কইরা জাইতেছে পাট্টিগুলা; কিন্তু এই ব্যাপারে পাট্টিগুলারে বেশ বেদিশা লাগে আমার, নিজেদের ইউএছপি’র ব্যাপারেও পাট্টিগুলার ভাবনা বেশ ঝাপশা! তাই দুয়েকটা টিপ্স দিতে চাই। বাট শুরুতে ঐ ব্যাপারে পাট্টিগুলা বেদিশা থাকার দুয়েকটা কারন তালাশ করা উচিত। শবচে বড়ো কারনটা খুব শম্ভব এমন: পাট্টিগুলা আশলে হাসিনারে…

  • পলিটিকেল বাশনার মায়ের নাম ইতিহাশ

    পলিটিকেল বাশনার মায়ের নাম ইতিহাশ

    দেশে হরেক পলিটিকেল ফ্যাছাদ হাজির আছে, তাতে বহু পক্ষের বহু লজিক হাজির হইতেছে; কিন্তু আমি আন্দাজ করি, আমরা একটা বুনিয়াদি মুশকিলে পড়ছি এখন–ইতিহাশের বয়ানের মুশকিল; এক কথায় আমি এই টপিকটার নাম দিতে চাই, ‘রেশনালাইজিং বাংলাদেশ’। ইতিহাশের এমন একটা খনে হাজির হইছি আমরা জেইখানে রাশ্টো হিশাবে বাংলাদেশকে রেশনালাইজ করার আওমি/বাওমি বয়ানটা…

  • লা শরিক আল্লা

    লা শরিক আল্লা

    হক এবং ডিউটির রিশতা শমাজের পোরতি ব্যক্তির ডিউটি আছে, আবার শমাজের কাছে ব্যক্তির হকও আছে। ব্যক্তির হকের ভায়োলেশন ঘটলে ব্যবস্থা নিতে হবে শমাজের। ব্যক্তির ডিউটির ব্যাপারেও তাই। মা-বাপের খেদমত করা বা এমনকি নিজের বাছুর পালন–এইগুলা আশলে বুড়া মানুশ এবং বাচ্চাদের হক, শমাজের কাছে, ব্যক্তির কাছে না; ঐগুলা করার ভিতর দিয়া…

  • রাজনৈতিক মনজিল ২০৪১

    রাজনৈতিক মনজিল ২০৪১

    আমাদের একমত হওয়া দরকার যে, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বহু জাতির একটি কনফেডারেশন। একই সাথে ‘বাংলাদেশি’ নামে একটি নিছক ভৌগোলিক অর্থে সাধারণ ‘জাতি’ আছে, যা আমরা ‘ন্যাশনাল পার্লামেন্ট’, ‘ন্যাশনাল ইলেকশন’, ‘ন্যাশনাল আর্কাইভ’, ‘পাসপোর্ট’ ইত্যাদি শব্দে সহজেই পাই এবং বুঝতে পারি। এই সাধারণ জাতির ধারণা এবং ‘বাঙালি’, ‘মুসলমান বাঙালি’, ‘হিন্দু বাঙালি’, ‘চাকমা’,…

  • ইলেকশন: ইশতেহার ২০২৬

    ইলেকশন: ইশতেহার ২০২৬

    ১. বিচার ও জবাবদিহিতা ট্রুথ কমিশন গঠন করে অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতা ও দুর্নীতির তদন্ত। অতীতের ভুলভ্রান্তি অতিক্রম করে সামাজিক সংহতির বুনিয়াদ তৈরি করা। পাবলিক প্রসিকিউটর নির্বাচন: জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে; ভোট দেবেন চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষকসহ স্থানীয় নেতৃত্ব। নির্বাচিতরা/প্রসিকিউটররা সরকার কনট্রোলের বাইরে থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। রিম্যান্ড সংস্কার: পুলিশ…

বেকুবের শুখের নামও শমান শুখ–রক মনু

Follow Us

ডান-বাম কি জিনিশ?

ডান বামের ভাগাভাগি করার বেলায় বরং ইছলাম আপনারে হেল্প করতে পারে! মানে, ডান হইলো ডিউটির পলিটিক্স, আর বাম হইলো রাইটছ্ বা হকের পলিটিক্স। মানে, ডানেরা কইতেছে জে, শকলে তার তার ডিউটি পালন করলে রাইটছ্ অটোমেটিক এস্টাবলিশ হবে; আর বামেরা কইতেছে, শকলের রাইটছ্ বা হক আদায় করলেই তো ডিউটি পালন হইয়া জাইতেছে! দুই পক্ষের কেউই ডিউটি বা হক–কোনটারেই বেহুদা ভাবে না। একটু এক্সামিন করি, নেশনালিজম কেন ডান? কারন, ঐটা নাগরিকদের ডিউটির গান গায়, নেশন/দেশের জন্ন নিজেরে কোরবানি দিতে কয়, মানুশের হক মুলতবি রাখে; খেয়াল করলে দেখবেন, একটা জাতি জখন পরাধিন, তখন কিন্তু তাদের নেশনালিজম নিজের হক আদায়ে ফাইট করে, ফলে তখন তারে বেশ বাম বাম লাগে! আর শাধিন হবার পরেই শেই নেশনালিজম হকের আলাপ বাদ দিয়া ডিউটির কথা কইতে থাকে কেবল, নেশনালিজম তখন হইয়া ওঠে জুলুমের পর্দা!

ইছলামিস্ট পলিটিক্সের মর্ম আমার মতে এই দুইয়ের মাঝামাঝি; কেননা, শমাজে-রাশ্টে মানুশের/নাগরিকদের ডিউটি আর হকের ভিতর ফয়ছালা করতে চায় ইছলাম–দুনিয়াবি পলিটিকেল অর্থে ইছলাম তাই শাচ্চা মদ্ধপন্থি।

এখনকার দুনিয়ায় ডান আর বামের একটা জেনারেল তারিফ বা ডেফিনিশন ঠিক পাইলাম না, তাই নিজেই দেবার ফিকির করলাম।

আমার এই ডেফিনিশনে ডিউটি এবং হক/রাইটছ্ দিয়া জেই ভাগাভাগি করলাম, তার দুয়েকটা দিক আরেকটু কিলিয়ার করতে হয়।

খেয়াল করেন, হক বা রাইটছ্ ব্যাপারটা পচ্চিম মোতাবেক রাশ্টের বিপরিতে বেক্তির পাওনা, কিন্তু ডিউটি’র ব্যাপারটা তাদের ডিফাইনিং টার্মিনোলজিতে পাই না তেমন। কিন্তু চোখা নজরে দেখলে বুঝবো জে, ডিউটির ভাবনার ছেন্টারে আছে শমাজ/কালেকটিভ। এই দুইটার রিশতা খুব শম্ভব এমন জে, বেক্তি আর শমাজ, এই দুইটার ভিতর ডায়ালেক্টিক্স/টেনশন আছে এবং নাগরিক ভোটাররা শমাজে জখন জেইটার ঘাটতি দ্যাখে, শেইটারে খমতায় পাঠায়।

ওদিকে, দুইটার একটা খুব জটিল মিলের পয়েন্ট আছে: দুইটাই চরমে গেলে আমরা পাবো ফেছিজম! জেমন ধরেন, নেশনালিস্ট পলিটিক্স হইলো ডিউটির পলিটিক্স এবং নেশনালিজম চরমে গেলে ফেছিজমে কনভার্ট করে নিজেরে! ওদিকে, রাইটছ্ ভাবনা চরমে গেলে কি হয় বা হবে? এইটা বোঝা একটু মুশকিল বটে: কেননা, জেনারেল ভাবনা খুব শম্ভব এমন জে, ঐটার চরম কোন রাশ্টেই এখনো দেখতে পাই নাই আমরা; ফলে আর কোন নিশানা দিয়া ফলাফল বোঝার ফন্দি বাইর করা দরকার!

এইখানে খেয়াল করা দরকার জে, মার্ক্সিজম কিন্তু শুরু হইতেছে লেবারের হক ডাকাতির নালিশ দিয়া, এবং মার্ক্সের ইশতেহার শেই হক/রাইট ফেরত পাইতে চায়, কেপিটালের কব্জা থিকা মুক্তি চায়; তাই এইটার বুনিয়াদ হইলো রাইটছ্; কিন্তু মার্ক্সের তরিকা মোতাবেক বানানো দুনিয়ার শকল রাশ্টেই শেই রাইটছ্ আখেরে ডিউটিতে কনভার্ট করছে নিজেরে এবং রাইটছ্ জিনিশটাই উল্টাইয়া গেছে অনেকটা! মানে ঐ রাশ্টোগুলায় রাইটছ্ মানে খাড়াইছে বেক্তির উপর রাশ্টের (কমুনিটি নামের কালেকটিভের বাহানায়) রাইটছ্, চরিত্রের দিক থিকা ঐ রাশ্টোগুলাই শবচে বড়ো কেপিটাল, একটা কর্পোরেশন জেইটা বেক্তিরে কতোগুলা ডিউটি দিয়া আটকাইতেছে। তার মানে, বাম থিকা শুরু হইয়া আখেরে শকল মার্ক্সিস্ট রাশ্টো আমার ডেফিনিশন বা তারিফ মোতাবেক ডানের দিকে হাটতে হাটতে ফেছিজমে হাজির হইতেছে! তাই হিটলার আর এস্টালিন হইয়া উঠতেছে বরাবর! হকের পলিটিক্স কখন জে ডিউটির পলিটিক্স হইয়া উঠলো, গায়ে লাগানো লেবেলের কারনে শেইটা আমাদের নজরেই পড়ে না পেরায়! ডিউটিরেই দেখাইতেছে হক হিশাবে; হকের বাহানায় ডিউটির এমন হাজির হওয়া কয়দিন আগেও দেখা গেলো ঢাকায়: মাইয়াদের হক আদায়ে একটা অর্গানাইজেশন দেখা গেলো জারা মাইয়াদের ডিউটি মনে করাইয়া দিয়া শেই ডিউটি পালন করারেই মাইয়াদের হক হিশাবে দেখাইতে চাইলো 🙂 ।

Translate »