রাজনিতির বুনিয়াদি উছুল/Political Doctrine

কবুলিয়তের শাশন

খাশ বাংলায়//

রাজনিতিতে নামার বেলায় কারো থাকতে পারে পয়শাপাতির ধান্দা বা খমতার, কিন্তু রাজনিতির মর্ম হইলো ‘খেদমত করা’; এবং খেদমত করা একটা মারেফতি বা আধ্যাত্তিক কাম।

মরনের ওপারে জে কোন ভাবাভাবি, পরার্থে আমাদের জে কোন হুশিয়ার ডিছিশন এবং মরনের পরেও দিনদুনিয়া আর মানুশের ভালো থাকা লইয়া আমাদের চিন্তাভাবনা আদতে আধ্যাত্তিক কায়কারবার–একটা মারেফতি জিন্দেগির নিশানা।

আধ্যাত্তিক হওয়াটা একই লগে মানুশের নিয়তি এবং জরুরত– খোদায়ি রহমত আবার অভিশাপ! মানুশের জিন্দেগি এতোই পলকা এবং এই অনুভব আমাদের এতোই তাড়া করতে থাকে জে, পেরায়ই আউলা কইরা দেয় আমাদেরে, বেহুদা লাগতে থাকে জিন্দেগি, কখনো বা খুদকুশির দিকে আগাইয়া জাই আমরা!

খুদকুশি বা ছুইছাইড বেশ জটিল ঘটনা, এইটা এমন একটা মোমেন্ট পয়দা করে জখন ব্যক্তির লিবার্টি বা আজাদি মুলতবি রাখা জায়, ঐটা হইলো আজাদির আখেরি লিমিট; তাই কারো অনিচ্ছায় হইলেও তার খুদকুশি ঠেকানোর ঘটনারে তারিফ করে শমাজ!

তাইলে মানুশ একটা আধ্যাত্তিক মাকলুকাত এবং জিন্দেগির দুনিয়াবি মনজিল হইলো শুখি হওয়া বা একান্ত ব্যক্তিগত শাধনায় থাকা।

শুখি হবার শর্ত হইলো শান্তি [মোছলমানরা তাই ইছলাম চাইতেছে জেই শব্দটার অর্থই হইলো–শান্তি!]।

রাজনিতির বুনিয়াদি পারপাছ/মনজিল হইলো তাই শমাজে শান্তি পয়দা করা; একেকটা পলিটিকেল পাট্টি আদতে শমাজে শান্তি পোতিশ্ঠার একেকটা তরিকা বা মক্তব, শান্তির একেকটা মুছাবিদা।

শমাজে শান্তির অভাব’কে আমরা জুলুমের নিশানা হিশাবে দেখতে পারি, ইনছাফের ঘাটতি দেখা দিলে শমাজে শান্তি কমতে থাকে। শান্তি জেন একটা কুয়া, শেই কুয়া ছোড়া ঢিলের নাম জুলুম, শান্তির কুয়ায় জুলুম এক মুছিবত, শান্ত পানিদের লাফাইয়া ওঠার নাম হুলাহুলি, রেজিস্ট্যান্স বা পোতিরোধ।

জুলুম মানেই ইনছাফের ঘাটতি, কেননা জুলুম শান্তির হানি ঘটায়। এবং কবুলিয়তের অভাব ঘটলেই জুলুম ঘটে। তাই কবুলিয়তের অভাব মানে গোলামির শুরু (বেদনা এবং ভোগান্তি) এবং এইখানেই অপরাধ/কেরাইমের শুরু। এমনকি রোগও এক কিছিমের গোলামি (বেদনা আর ভোগান্তি) এবং শেই কারনেই পাবলিক হেলথ একটা রাজনৈতিক ওয়াদা হবার কথা এবং এই রাশ্টের ডিউটির আওতায় পড়বে।

অপরাধ আর পাপ দুই জিনিশ; পাপ হইলো ধর্মের ব্যাপার, কেরাইম জেইখানে কিনা শামাজিক। পাপ হইলো ব্যক্তি মানুশের লগে খোদার রিশতার মামলা; আর কেরাইম ঘটতে জেহেতু কবুলিয়তের কানুনের ভায়োলেশন ঘটতে হয়, তাই একটা কেরাইম ঘটতে  একের বেশি মানুশ বা মাকলুকাত দরকার হয়, মানে শামাজিক হইয়া ওঠে। এইভাবে একটা পাপ পাবলিক বা শামাজিক হবার ভিতর দিয়াই কেরাইম হইয়া ওঠে।

জখন জুলুম বা কেরাইম ঘটে, ভিকটিমের তখন খতিপুরন পাওনা হয়, এইটারে ভাবা জাইতে পারে রিভেন্জ বা বদলা। জুলুম জেহেতু ভিকটিমের মনে পেরায়ই রাগ-ঘেন্না পয়দা করে, ফলে ভিকটিম নিজে বদলা নিতে গেলে বাড়াবাড়ি ঘটতে পারে, নয়া জুলুম ঘটতে পারে তখন–পাওনা খতিপুরনের বেশি নিয়া নিতে পারে শে, ভিকটিম নিজেই হইয়া উঠতে পারে নয়া জালেম! আইন-আদালতের মর্ম এইখানে; কেরাইম এবং খতিপুরন জখন কোন একভাবে শমান হয়, তারই নাম ইনছাফ। ফলে ইনছাফে দুইটা জিনিশ পাওয়া জাইতে পারে–খতিপুরন এবং রিভেন্জ/বদলা, এবং এই দুইটারে এক লগে আমরা কইতে পারি শাজা বা পানিশমেন্ট।

রাশ্টের মর্ম এইখানেই। রাশ্টো একটা ছিস্টেম জেইটা ইনছাফ পোতিশ্ঠা এবং রক্ষা করে, জুলুমের খতিপুরনকে ইনছাফের কানুনের ভিতর নিয়া আশে, জালেমকে শাজা দেয় এবং এইভাবে মজলুমের মনে উশ্মা এবং বদলার বাশনা মোচন করে।

এখন, কোন একটা ছিস্টেমে তলার ভাগাভাগি থাকে, উপর-নিচ থাকে, কেউ না কেউ দরকারি কাজকাম করে। এইভাবে কোন একটা ছিস্টেম কিছু ব্যক্তির হাতে বাড়তি খমতা দেয়, দিতে হয় ছিস্টেমকে–মানে ছিস্টেম শমাজের ব্যক্তিদের ভিতর খমতার রিশতা পয়দা করে। আর বাড়তি খমতা মানেই জুলুমের শম্ভাবনা; কেননা, অন্নকে গোলামির জিন্জিরে আটকাইতে দরকারি বাড়তি খমতা আছে খমতাবানের। আবারো মনে করাইয়া দিতে হয় জে, কবুলিয়তের কানুনের খেলাপেই গোলামির শুরু হয়।

এইখানে আমরা পাইতেছি, রাজনিতির শাচ্চা  মনজিল–ঐ বাড়তি খমতা জেইটা শাশন করতে দরকারি শেইটা পাইতে নাগরিকদের কবুলিয়ত আদায়। নিয়মিত বিরতিতে নাগরিকদের কবুলিয়ত নেওয়া এবং শেইটা রেনু করার ছিস্টেম থাকতে হবে। কারো বাড়তি খমতা জেন নাগরিকদের গোলামির কারন হইয়া উঠতে না পারে, বাড়তি খমতা মানেই জেই জুলুম/গোলামির শম্ভাবনা, শেইটারে মিমিমাম রাখতে ঐ রেনু করার ব্যবস্থা দরকারি।

তাইলে, গোলামি মিনিমাম রাখতেই

 জনতা/নাগরিকরা রাশ্টো বানাইতেছে, জুলুম বা ইনছাফের খেলাপ ঠেকাইতে চাইতেছে, জেইটা একই শাথে একটা ছিস্টেম হবার ভিতর দিয়া গোলামির শম্ভাবনা বহালও রাখতেছে। কিছু নাগরিকের হাতে বাড়তি খমতা তুইলা দিতেছে, রাজনিতি, আইন-আদালত বানাইয়া শেই মস্ত খমতাকে আবার কনটোল করতে চাইতেছে। রাশ্টের মুছাবিদার দলিল বা কন্সটিটুশন বানাইতেছে, রেগুলার ইলেকশনের ভিতর দিয়া নিজেদের কবুলিয়ত তুইলা লইয়া শেই বাড়তি খমতার ছিন্ডিকেটকে পলিটিকেল পানিশমেন্ট/শাজার আওতায় রাখতে চাইতেছে নাগরিকরা/জনতা। জনতা/নাগরিকদের দিক থিকা রাশ্টো বানানো হইতেছে তাদের খেদমতের নিয়তে; তার মানে, শাশক আর ছিস্টেমের ডিউটি হইলো তার মালিক জনতার খেদমত করা। কিন্তু এই পুরা চক্করে খমতার জেই রিশতা আর গোলামির নয়া শম্ভাবনা পয়দা হইতেছে তাতে কইতে হয় জে, রাশ্টো আশলে একটা দরকারি শয়তান।

রাজনিতি আর রাশ্টের চক্কর

ইলেকশন মুলতবি>>কবুলিয়তের অভাব>>জুলুমের হুকুমত/নমরুদ-জালেম>>জুলুম/ইনছাফের খেলাপ>>উশ্মা/ঘেন্না (জনতার মনে)>>হুল/রিভল্ট>>গন্ডগোল/গায়ের জোরের হুকুমত কায়েম হওয়া>>অগুনতি ছোট ছোট জুলুম>>শান্তির বাশনা>>শামাজিক চুক্তির জরুরত>>ইলেকশন/কবুলিয়তের আদায়>>অর্ডার/নিয়ম-কানুন>>শাশন>>ছিস্টেম>>খমতার রিশতা>>জুলুমের শম্ভাবনা>>গোলামির ভাবনা (ফিলিং)/হাওয়া>>টাইরানি…

ইনছাফের খেলাপ ঠেকাইয়া শান্তি রক্ষায় তাই একটা রাশ্টের ৩টা কাম করতে হয়। গোলামির ভাবনা/ফিলিং আর জালেম উৎখাতে জনতার হুলের জরুরত ঠেকানো শম্ভব হবে এইভাবে:

১. ইলেকশন। রেগুলার জনতার কবুলিয়ত রেনু করা।

২. ইনছাফ। জনতার ভিতর উশ্মা/ঘেন্নার মোচন।

৩. খারাপ শাশনের জন্ন পলিটিকেল পানিশমেন্ট, জনতার কবুলিয়ত তুইলা লওয়া/জনতার তালাকের ব্যবস্থা। 

English//

Someone’s motive for politics might be money or power, but the essence of politics is to serve. And to serve is a spiritual act.

Thinking beyond death, any form of conscious selflessness, and concern for the well-being of the human world/society after your death is the indication of spirituality. 

Spirituality is the predestination of human species and also a necessity–a curse and a blessing altogather; the unbearable lightness of being relentlessly chases human mind which is so powerful that it can drive us crazy, we get depressed that often lead us to suicide.

Suicide is an interresting phenomena, it creates the moment when liberty/individual freedom might be suspended, it is the ending line of liberty. that is why prevention of suicide against one’s will is praiseworthy.

humans are spiritual beings. 

duniyabi purpose of life: happiness/personal quest.

The precondition of happiness is peace (for muslims its Islam, meaning peace, literally).

The primary purpose of politics is to create peace, different political parties are different schools of seeking it, prescriptions/methodology to achieve peace.

lack of peace is the indication of julm/lack of justice. julm is the disturbance in the peace-pond, julm is the stone cast in the pond, splash is the resistance.

when there is a lack of consent (kobuliyat), julm occurs. julm is an injustice as it destroys peace. That is why violating the rule of kobuliyat is the initiation of enslavement (pain and sufferings) which is called crime. Even disease is a form of enslavement; that’s why public health must be a political commitment, a responsibility of state and government.

crime is not necessarily sin in every religion; sin is something between an individual human and the god. As to occur a crime, the rule of kobuliyat must be violated, it requires at least two humans (maklukat), therefore it is social. Thus sins need to be public/social to be qualified as crimes.

When crimes/julm happen, the victim deserves the compensation which is known as revenge. As julm creates resentment in the mind of the victim, revenge might often lead to a new julm, revenge might exceed the due compensation. Here we get the essence of the law and justice system. When the crime and the compensation (revenge) is proportionate, its called justice and its the combination of the two ideas–compensation and revenge which is called punishment.

Here comes the essence of state which is nothing but a system that maintains law and justice, formalizes the compensation for julm, punishes the oppressors/jalems, by which,  neutralizes resentment by meeting the victim’s craving for revenge.

now, systems require hierarchy and actors; and systems always empower certain actors, systems engage people in power relations. and thus systems create a new possibility of julm, as the empowered has the increased capability that can create enslavement. Enslavement starts with the violation of the rule of consent (Kobuliyat).

Now we get to the very purpose of politics, the process/method of gaining  consent of the citizens that legitimizes the governance (being empowered). The government must be legitimized and renewed periodically through the consent of citizens to keep the possibility of julm/injustice/enslavement lowest/minimal.

so, the people/citizens build up the state to minimize their enslavement, preventing julm/injustice; then they build up the system, empowers some citizens over them, they establish politics, justice system,  law to control that overwhelmingly massive power, constitution, election to renew their consent with the possibility of political punishment to the rulers. the purpose of establishing the state is to serve the people; that means the duty of the system or government is to serve. The governing system/government (even the very idea of the state) is a necessary evil.

the cycle:

suspension of election>> lack of consent>> autocracy/tyranny>> julm/injustice>> resentment>> revolt>> chaos>> micro-julms>> urge for peace>> emergence of social contract>> election>> order>> governance>> system>> power relations>> possibility of julm>>feeling of enslavement >>tyranny…

Three things a state needs to maintain peace: to minimize the sense of enslavement and be immune to people’s revolt against tyranny.

Political Punishment: for bad governance.

Election: regular renewal of consent.

Justice System: mitigating the resentment.

কলোনিয়াল বাংলায়//

রাজনীতির বুনিয়াদি তত্ত্ব

কবুলিয়তের শাসন

কারো রাজনীতি করার পেছনে হয়তো অর্থ বা ক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্য থাকতে পারে, কিন্তু রাজনীতির মূল কথা হলো সেবা করা। আর সেবা করা হলো একটি আধ্যাত্মিক কাজ

মৃত্যুর ঊর্ধ্বে চিন্তা করা, সচেতনভাবে নিঃস্বার্থপরতার যেকোনো রূপ, এবং আপনার মৃত্যুর পরে মানব সমাজ বা পৃথিবীর কল্যাণের জন্য উদ্বেগ হলো আধ্যাত্মিকতার ইঙ্গিত।

আধ্যাত্মিকতা হলো মানবজাতির পূর্বনির্ধারিত গন্তব্য এবং একই সাথে একটি প্রয়োজন—একইসঙ্গে অভিশাপ ও আশীর্বাদ; অস্তিত্বের যে অসহনীয় লঘুতা (unbearable lightness of being) মানব মনকে নিরন্তর তাড়া করে বেড়ায়, তা এতই শক্তিশালী যে এটি আমাদের পাগল করে দিতে পারে, আমরা বিষণ্ণ হয়ে পড়ি যা প্রায়শই আত্মহত্যার দিকে পরিচালিত করে।

আত্মহত্যা একটি আকর্ষণীয় ঘটনা; এটি এমন একটি মুহূর্ত সৃষ্টি করে যখন স্বাধীনতা/ব্যক্তিগত স্বাধীনতা স্থগিত হতে পারে, এটি স্বাধীনতার শেষ সীমা। এই কারণেই একজনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা প্রশংসার যোগ্য।

মানুষ আধ্যাত্মিক সত্তা। জীবনের দুনিয়াবি উদ্দেশ্য: সুখ/ব্যক্তিগত অনুসন্ধান

সুখের পূর্বশর্ত হলো শান্তি (মুসলমানদের জন্য এটি হলো ইসলাম, যার আক্ষরিক অর্থ শান্তি)।

রাজনীতির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো শান্তি সৃষ্টি করা; বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হলো সেই শান্তির অন্বেষণের বিভিন্ন বিদ্যালয়, শান্তি অর্জনের জন্য তাদের নিজস্ব পদ্ধতি/বিধান

শান্তির অভাব হলো জুলুম/ন্যায়বিচারের অভাবের ইঙ্গিত। জুলুম হলো শান্তি-সরোবরে disturbance (গোলযোগ), জুলুম হলো সেই সরোবরে নিক্ষেপ করা পাথর, আর এর ছিটকিনি (splash) হলো প্রতিরোধ (resistance)

যখন সম্মতির (কবুলিয়াত) অভাব থাকে, তখন জুলুম ঘটে। জুলুম হলো অন্যায়, কারণ এটি শান্তি ধ্বংস করে। এই কারণেই কবুলিয়াতের নিয়ম লঙ্ঘন করা হলো দাসত্বের (কষ্ট এবং দুর্ভোগ) সূচনা, যাকে অপরাধ (crime) বলা হয়। এমনকি রোগও এক প্রকার দাসত্ব; এই কারণেই জনস্বাস্থ্য অবশ্যই একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার, রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব হওয়া উচিত।

অপরাধ সব ধর্মে অনিবার্যভাবে পাপ (sin) নয়; পাপ হলো একজন ব্যক্তি মানুষ এবং ঈশ্বরের মধ্যেকার বিষয়। যেহেতু একটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার জন্য কবুলিয়াতের নিয়ম লঙ্ঘন করা প্রয়োজন, তাই এর জন্য কমপক্ষে দুজন মানুষ (মখলুকাত) দরকার, ফলে এটি সামাজিক। সুতরাং পাপকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য অবশ্যই জনসমক্ষে/সামাজিক হতে হবে।

যখন অপরাধ/জুলুম ঘটে, তখন ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণের যোগ্য, যা প্রতিশোধ নামে পরিচিত। যেহেতু জুলুম ভুক্তভোগীর মনে অসন্তোষ সৃষ্টি করে, তাই প্রতিশোধ প্রায়শই একটি নতুন জুলুমের জন্ম দিতে পারে, প্রতিশোধ প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের চেয়ে বেশি হতে পারে। এখানেই আমরা আইন ও বিচার ব্যবস্থার মূল সারাংশটি পাই। যখন অপরাধ এবং ক্ষতিপূরণ (প্রতিশোধ) সমানুপাতিক হয়, তখন তাকে বিচার (justice) বলা হয়, এবং এটি হলো দুটি ধারণার—ক্ষতিপূরণ ও প্রতিশোধের—সমন্বয়, যাকে শাস্তি (punishment) বলা হয়।

এখানেই রাষ্ট্রের মূল সারাংশটি আসে, যা আর কিছুই নয়, কেবল একটি আইন ও বিচার ব্যবস্থা বজায় রাখার পদ্ধতি, যা জুলুমের জন্য ক্ষতিপূরণকে আনুষ্ঠানিকতা দেয়, ** oppressors/জালেমদের** শাস্তি দেয়, যার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে অসন্তোষকে নিষ্ক্রিয় করে।

এখন, ব্যবস্থার জন্য ক্রম (hierarchy) এবং অভিনেতা প্রয়োজন; এবং ব্যবস্থা সর্বদা নির্দিষ্ট অভিনেতাদের ক্ষমতা প্রদান করে, ব্যবস্থা মানুষকে ক্ষমতার সম্পর্কের মধ্যে জড়ায়। এবং এইভাবে ব্যবস্থা জুলুমের একটি নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে, কারণ ক্ষমতাপ্রাপ্তদের দাসত্ব সৃষ্টির বর্ধিত ক্ষমতা থাকে। দাসত্ব শুরু হয় সম্মতির (কবুলিয়াত) নিয়ম লঙ্ঘনের মাধ্যমে।

এখন আমরা রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যে আসি: নাগরিকদের সম্মতি অর্জনের প্রক্রিয়া/পদ্ধতি যা শাসনকে (ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়াকে) বৈধতা দেয়। সরকারকে অবশ্যই বৈধতা দিতে হবে এবং নাগরিকদের সম্মতির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে নবায়ন করতে হবে যাতে জুলুম/অন্যায়/দাসত্বের সম্ভাবনা সর্বনিম্ন/ন্যূনতম রাখা যায়।

সুতরাং, জনগণ/নাগরিকেরা তাদের দাসত্ব কমাতে, জুলুম/অন্যায় প্রতিরোধ করতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে; তারপর তারা ব্যবস্থা তৈরি করে, তাদের উপরে কিছু নাগরিককে ক্ষমতা দেয়, তারা সেই বিশাল ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজনীতি, বিচার ব্যবস্থা, আইন, সংবিধান, নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করে, যাতে শাসকদের রাজনৈতিক শাস্তির সম্ভাবনাসহ তাদের সম্মতি নবায়ন করা যায়। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলো জনগণের সেবা করা; এর অর্থ হলো ব্যবস্থা বা সরকারের কর্তব্য হলো সেবা করাশাসন ব্যবস্থা/সরকার (এমনকি রাষ্ট্রের ধারণাটিও) একটি প্রয়োজনীয় মন্দ

চক্র:

নির্বাচন স্থগিতকরণ >> সম্মতির অভাব >> স্বৈরাচার/অত্যাচার >> জুলুম/অন্যায় >> অসন্তোষ >> বিদ্রোহ >> বিশৃঙ্খলা >> ক্ষুদ্র জুলুম >> শান্তির জন্য আকাঙ্ক্ষা >> সামাজিক চুক্তির উত্থান >> নির্বাচন >> শৃঙ্খলা >> শাসন >> ব্যবস্থা >> ক্ষমতার সম্পর্ক >> জুলুমের সম্ভাবনা >> দাসত্বের অনুভূতি >> স্বৈরাচার

শান্তি বজায় রাখতে একটি রাষ্ট্রের তিনটি জিনিস প্রয়োজন: দাসত্বের অনুভূতি কমানো এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনগণের বিদ্রোহ থেকে মুক্ত থাকা।

নির্বাচন: সম্মতির নিয়মিত নবায়ন। বিচার ব্যবস্থা: অসন্তোষ প্রশমিত করা। রাজনৈতিক শাস্তি: খারাপ শাসনের জন্য।


কেতাব: কবুল, কবুল, কবুলিয়তের শাশন

comment/ফতোয়া

Translate »