‘বিভাজনের রাজনিতি’

দেশে এমন একটা ভাবনা আছে–বিভাজনের রাজনিতি, বহু বছর ধইরাই। কিন্তু এই ব্যাপারে কিলিয়ার বোঝাপড়া পাই নাই আমি কোথাও; দেশের বিভিন্ন পক্ষ তার তার মতো কইরা তার তার পলিটিকেল দুশমনদের ব্যাপারে অমন নালিশ কইরা থাকেন এবং শকলেই তার তার পয়েন্টে একমত হওয়াটারেই রিভাজনের রাজনিতি থিকা বাইরাবার, ঐ খতিকর রাজনিতি খতম করার উপায় হিশাবে দাবি কইরা থাকেন বইলা মনে হইছে আমার। তাই এই জিনিশটাতে শবার নজর একটু টানতে চাইতেছি।

শুরুতেই কইবো, ইতিহাশের টুরুথ এবং ইনছাফের বুনিয়াদে আমরা ভরশা রাখতে শুরু করলে ঐটা খতম হওয়া খুব মুশকিল মনে হয় না আমার!

ছো, বিভাজনের একদম গোড়ায় আছে খোদ ‘জাতি’র আইডিয়া। এই ব্যাপারে আমরা একটা শুবিধা পাইছি এখন, ৫ আগস্ট ২০২৪-এ হাসিনার ছুরতে ইনডিয়ান নেশনালিজমের বেরান্চ বা ডাল হইয়া পড়া বাংগালি নেশনালিজম উৎখাতের ভিতর দিয়া।

এইবার একটা কনফেডারেশনাল জাতি হিশাবে ‘বাংলাদেশি’ বইলা নিজেদের ভাবতে পারা জাবে আরামে। আরো আগেই এই শুরু হইছে, শুরু কইরা দিয়া গেছেন জিয়া; আমরা খেয়াল করলে দেখবো, আগের বহু ‘বাংগালি নেশনালিস্ট’ বিএনপিতে ঢুইকা বাংলাদেশি নেশনালিজমে ভরশা রাখা শুরু করছে। হজরত ফজলু’কে আমরা শেই ক্যাটেগরিতে ফেলতে পারি এবং এমন আরো অনেকেই আছে।

কিন্তু নেশনালিজমকে একটা পজিটিভ আইডিয়া হিশাবে দেখার উপায় নাই ততো; এইটা এক্সিস্টেন্সিয়াল ছিচুয়েশনে পড়লেই কেবল এক্টিভেট করা জায়, হামলার রেজিস্ট্যান্সে একটা কালচারাল উইপন হিশাবে। ফলে এই ‘বাংলাদেশি’ জাতি ছেরেফ একটা পলিটিকেল-ইকোনমিক আইডি, একটা টেরিটোরিয়াল এনটিটি হিশাবে ভাবা দরকার আমাদের। এবং ঐ কনফেডারেশনাল জাতি আবার আমরা বানাইতেছি কালচারাল অর্থের অনেকগুলা জাতি মিলা–বাংগালি, চাকমা বা বিহারি বা শাওতাল বা মারমা।

বিভাজনের রাজনিতি খতমের রাস্তা হইলো, অনেকগুলা জাতি আইডি মাইনা নেওয়া এবং তারপর শকলে মিলা কনফেডারেশনাল জাতি বানানো; কিন্তু আমরা জদি বাংলাদেশটারে কেবল বাংগালির ভাবা শুরু করি বা মোছলমানের, তাইলেই বিভাজনের রাজনিতি শুরু হইলো। বাংগালিদের ভিতর আবার হিন্দু বাংগালি আছে, মোছলমান বাংগালি আছে; কেউ কেউ বঙ্কিমের টার্মে ‘বাংগালি মোছলমান’ নামে ডাকে; আমি তার বিরোধিতা করি নাই আশলে; মানে আমার আন্দাজ হইলো, কোন শব্দটা আগে, তার বিচারে পরিচয়ের পেরাইমারি-ছেকেন্ডারি ঘটে না ঠিক, বরং ঐটা লোকেশন মোতাবেক কওয়া হয়। জেমন ধরেন, হজে গেলে বহু কিছিমের মোছলমান এক লগে হইতেছে, শেইখানে ম্যানেজমেন্টের শুবিধার জন্ন জদি ক্যাটেগরি করা হয়, আমরা তখন হবো ‘বাংগালি মোছলমান’; কিন্তু এই আমরাই জদি হরেক কিছিমের বাংলাভাশির লগে একটা ময়দানে জমায়েত হই, তখন ক্যাটেগরি করা হইলে তা হবে এমন: হিন্দু বাংগালি, মোছলমান বাংগালি, বৌদ্ধ বাংগালি। তাই ঐ তেমন ব্যাপার না, বাংগালি মোছলমান কইল কারো আরাম লাগলে, তাই শই।

তো, এই জে হজরত ফজলু বাংগালি নেশনালিজমের জটলা ছাইড়া বাংলাদেশি নেশনালিজমের কনফেডারেশনাল নিশানের আইশা খাড়াইলেন, এমন আরো অনেকেই–আমরা কি এনাদেরকে আবার ঐ জটলায় ফেরত পাঠাবো? নাকি আমাদের কোন পক্ষের ঢঙ আর ভংগিমায় কতোটা ঘশামাজা করলে ঐ জটলা থিকা আরো আরো লোক বাংলাদেশি নামের নিশানের নিচে আইশা খাড়াইবে, শেই ফন্দি-ফিকির করা উচিত? হজরত ফজলুদের কতোটা মাইনা নিলে এই পক্ষের কি কি হজরত ফজলুরা মাইনা নেবে, শেই বিনিময়ে শালিশি করাই রকম শাহের কাম বইলা শাব্যস্ত করলাম, এই ব্যাপারে রকম শাহের একটা বন্দোবস্ত আছে!

See also  পোস্ট-নেশনাল মুছিবত

শেই বন্দোবস্ত পেশ করতেই শুরুতে ঐ কনফেডারেশনাল জাতি’র কথাটা কইলাম। শকল পক্ষের কাছে এইটা মাইনা নেবার মতো লাগে আমার; পাহাড়ের মানুশজনের শানেও এইটা পেশ করবো এইভাবে জে, ইউএন বন্দোবস্ত মোতাবেক আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার এক্সপেরিয়েন্স থিকা পয়দা হওয়া ইন্ডিজেনাছ পিপল বা আদিবাশি ডিছকোর্ছ থিকা আপনারা এই কালচারালি ডিছটিংক্ট জাতি হিশাবে দেখতে পারেন নিজেদের–একটা না, অনেকগুলাই; আদিবাশি ডিছকোর্ছে থাইকা হিন্দু আর মোছলমান বাংগালির লগে মারামারিই করতে হবে এবং এইটা কোন এলেমদারি কাম হইতে পারে না। বরং কনফেডারেশনাল জাতির ভিতরে থাকা অনেকগুলা জাতির একটা হিশাবে ধরেন চাকমা জাতি তাদের কালচারাল-লিগাল-রিলিজিয়াছ হক এস্টাবলিশ করতে পারলে শান্তির শম্ভাবনা বাড়বে বইলা আন্দাজ করি আমি।

তাইলে খেয়াল করেন, আমার বন্দোবস্ত মোতাবেক একদম বুনিয়াদি ভাবনা হইলো, বাংলাদেশ একটা এছেন্সিয়াল এনটিটি; বিভাজনের রাজনিতি খতম করতে শুরুতেই এইটা আমাদের মাইনা নিতে হবে, বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল ইনটে্গরিটিতে ভরশা রাইখা আগাইতে হবে আমাদের, এই ব্যাপারে ইউএন বন্দোবস্তে থাকাটাই শান্তির শর্ত; পাকিস্তান বা এমনকি বড়ো বাংলা বা বেংগল ডেল্টার আলাপটা আমাদের ফ্যাছাদের দিকে নিয়া জাইতে পারে, ইনডিয়ান ইম্পেরিয়ালিজমের [অখন্ড ভারত] জবাব আমরা পাল্টা ইম্পেরিয়ালিজম মারফতে দিবো না।

বাংলাদেশকে এছেন্সিয়াল এনটিটি ভাবতে কারো কারো মুশকিল হইতে পারে বইলা মনে হয় আমার! এই মুশকিলের আছান হইতে হইলে দেশের নাগরিকদের পক্ষগুলার ভিতর বিপক্ষের কিছু দাবি ইতিহাশ বিচারে মাইনা নেওয়া দরকার হবে। কেমন?

তবে এই ব্যাপারে শুরুতেই কইতে হয় জে, একটা বাচ্চার জনমের কথা ভাবেন; বাচ্চাটা জাউড়া হইতে পারে, তার চোখ না থাকতে পারে, একটা হাত না থাকতে পারে, কিন্তু জনম হইয়া গেলে পরে মাইনা নিতে হয় আমাদের, জনমের পরে একটা বাচ্চারে হিউম্যান ছোছাইটির মেম্বার হিশাবে মাইনা না নেওয়াটা হবে ইনহিউম্যান, জুলুম। বাংলাদেশের ব্যাপারেও তেমনি ভাবেন, মুজিব লিগ হইতে পারে ইনডিয়ান এজেন্ট, ইনডিয়ান কন্সপিরেছি থাকতে পারে, পাকিস্তান ভাংগার এজেন্ডা আলবত আছিলো ইনডিয়ার, কিন্তু জেমনেই হৌক বাংলাদেশ পয়দা হইছে ইতিহাশে, ইনডিয়া-পাকিস্তান দুই দেশই রিকগনাইজ করছে বাংলাদেশ; ফলে বাংলাদেশ একটা এছেন্সিয়াল এনটিটি।

হজরত ফজলুদের আমি মাইনা নিতে বলবো জে, ইনডিয়ান কন্সপিরেছি আছিলো, বিহারি জেনোছাইড হইছে, মুক্তিজুদ্ধে আমরা জিতি নাই, পাকিস্তান হারছে ইনডিয়ার কাছে, ফলে আমাদের ততো গৌরব নাই ঐখানে। বরং শরমের ব্যাপার আছে, আমরা বেয়োনেট দিয়া খোচাইয়া খুন করছি জুদ্ধবন্দিদের। কিন্তু এর ফলে বাংলাদেশ নাই হইয়া জায় না। আপনারা ছেটিছফ্যাকশনের জন্ন এমন ভাবতে পারেন জে, আমরা ইনডিয়ারে ইউজ কইরা নিজেরা একটা রাশ্টো বাগাইয়া লইছি; পরে ইনডিয়া জখন বাড়তি ফায়দা হাছিল করতে চাইছে, তখন এই ২০২৪ শালে আমরা শেই ইনডিয়ারে তার রাজাকার বাহিনি শুদ্ধা উৎখাত করছি।

ওদিকে, উল্টাপক্ষরে কইবো জে, পাকিস্তান মিলিটারিরে ডিফেন্ড করার কিছু নাই; রাশ্টো চালাবার এখতিয়ার জে জনগনের বাছাই করা খলিফা হিশাবে ছিভিল পলিটিশিয়ানদের, শেইটা পাকিস্তান আর্মি তখনো মানে নাই, এখনো মানে না। পাকিস্তান আর্মি ১৯৫৮ শাল থিকাই এন্টি-পিপল, এখনো তাই আছে।

See also  পলিটিকেল বাশনার মায়ের নাম ইতিহাশ

২৫ মার্চ রাতের বেলার ‘অপারেশন ছার্চলাইট’ আলবত পাকিস্তানের নাগরিকদের উপর পাকিস্তান আর্মির হামলা এবং ইনডিয়ান এজেন্ট নির্মুল করার বাহানায় ঐটা আদতে হিন্দু-মোছলমান বাংগালির উপর হামলা; একটা জেনোছাইডের শুরু, বাংগালি নেশনালিজমরে নালিশগুলা ভেলিডেট/জাস্টিফাই কইরা দেওয়া। ঐ রাতে ছিভিল পপুলেশন বাদেও পুলিশের ভিতরের বাংগালিদেরো খুন করা হইছে। আরো খুন করছে ইপিআর এবং আর্মির বাংগালিদের। এই হামলা এবং খুনগুলারে জাস্টিফাই করতে পারে না ২৫ মার্চের আগে বিহারিদের উপর বাংগালি নেশনালিস্টদের হামলা। বিহারিদের উপর বাংগালি নেশনালিস্টদের হামলা জদি অপারেশন ছার্চলাইটকে জাস্টিফাই করতে পারে বইলা ভাবেন আপনে, তাইলে মাইনা নিতেছেন জে, ৫ মে ২০১৩’র রাতের শাপলায় হাসিনার ‘অপারেশন ফেলাশআউট’ এবং ২৪’র জুলাইতেও হাসিনা ঐ কিছিমের জুক্তিই কিন্তু হাজির করছিলো, বাকশালিরা এখনো তাই কইরা জাইতেছে।

ওদিকে খেয়াল করেন, বাংলাদেশকে জদি আমরা ‘এছেন্সিয়াল এনটিটি’ হিশাবে মাইনা লই, তখন ঐটারে আর ছিভিল ওয়ারও কইতে পারবেন না; কেননা, বাংলাদেশের দাবি হইলো, ২৬ মার্চেই বাংলাদেশের পত্তন হইছে [কালুরঘাট, জিয়া]। ফলে পাকিস্তান আর্মি ২৬ মার্চ থিকাই দখলদার। একটা আইডিয়া হিশাবে পাকিস্তানরে জদি দরকারি ভাবি আমরা, তাইলে আমি কইবো, রাশ্টো হিশাবে ঐটা কামিয়াব হইতে এছেন্সিয়াল আছিলো ডেমোক্রেছি, জেইটা পুরা খুন করে আইউব/পাকিস্তান আর্মি; জিন্নার মরনের পরে ১৯৫০ শালের রায়ট পাকিস্তান আইডিয়ার গোড়ায় পয়লা কুড়ালের কোপ ধরা জাইতে পারে। পাকিস্তান শরকার ঐ রায়টে কতো হিন্দু মারা জায়, শেইটা কখনো জানায় নাই, কিন্তু ইনডিয়া-পাকিস্তানের দুই পিএম মাইনোরিটির ছিকিউরিটি ইশুতে চুক্তি করে একটা। ১৯৭১ শালে শেই চুক্তিরও ভায়োলেশন করে পাকিস্তান আর্মি এবং হিন্দু-বাংগালিরা এস্পেশাল টার্গেট আছিলো–জগন্নাথ হল এবং পুরান ঢাকার শাখারিবাজারে হামলা তার পশ্ট আলামত।

পাকিস্তান টিকাইয়া রাখার লাস্ট মওকা আছিলো ১৯৭০ ইলেকশনের পরে মুজিবের হাতে খমতা দিয়া দেওয়া, মুজিব এমনকি ইনডিয়ার এজেন্ট হইলেও! মানে, ঐ অপারেশন ছার্চলাইট করার শাচ্চা জাস্টিফিকেশন হয়তো মুজিবই বানাইয়া দিতো ২/৩ বছরের ভিতরেই! আন্দাজ করি, জেই বাংগালি নেশনালিজমে শওয়ার হইয়া মুজিব ইলেকটেড হইছিলো, শেইটাই মুজিবেরে খাইয়া ফেলতো; তার লগে থাকতো বিহারি খুনের বিচারের দাবি। কিন্তু শেই ছবর পাকিস্তান আর্মির আছিলো না; কেননা, তারা তো দেশ শাশনে ছিভিল পলিটিশিয়ানদের হকই ততোদিনে মানতে ভুইলা গেছে, আর্মি-ছুপ্রিমেছিতে ছয়লাপ হইয়া গেছে পাকিস্তান আর্মি; তার উপর মুজিব আবার বাংগালি, ইনডিয়ার এজেন্ট বইলা শন্দেহ তো আছেই বাড়তি।

ছো, আমি দুই পক্ষরে কইবো, মানুশের পেইন আর ছাফারিং আমলে নিতে, ইনছাফের বেছিক কানুনে একিন কইরা জুলুমকে চিনতে; ঘেন্না আর পিরিতে আন্ধা না হইয়া মানুশের পেইন আর ছাফারিং এবং জুলুম আমলে নিতে জানলে দেখবেন, ভিকটিম কখনো বিহারি, কখনো বাংগালি, কখনো হিন্দু; একেকটা টাইমে একেকটা জালিমও পাইবেন তখন–কখনো বাংগালি নেশনালিস্ট, কখনো পাকিস্তান আর্মি, কখনো মুজিব বাহিনি, কখনো ইনডিয়ান আর্মি। তার লগে আমি এস্পেশালি ফর্মার বাংগালি নেশনালিস্টদের কইবো, পুরাটা ছাড়েন পিলিজ–ঐ মাল ইনডিয়ান নেশনালিজমের একটা ডাল, একটা বেছিস্ট-ফেছিস্ট আইডিয়া; এবং জেই জুদ্ধে আমরা জিতি নাই, বরং মওকা পাইয়া কতোগুলা খুন করছি, শেইখানে গৌরবের কিছু নাই, শরমের ব্যাপার লইয়া গর্ব কইরেন না। জেমনেই হৌক আমরা একটা রাশ্টো বাগাইছি, তার কামিয়াবিও কম নাই; আমরা বরং শকলের পাপের রিডেম্পশন লইয়া ভাবি এইবার। আরো কইবো, নিজেদের আমলনামা আমাদের কপালেই লেখা, শেই আমলনামা লইয়া আরেকজন কথা কইবেই, শুনতে রাজি হইতে হবে আমাদের; কেউ কইবে, রিহারি খুন করছো তোমরা, মাইনা নেন; কন জে, হ করছি, ‌আর করবো না, ভুল হইয়া গেছে। কেউ কইবে, রাজাকার; মাইনা নেন; কন জে, আছিলাম, আর নাই; বাংলাদেশেই এখন আমার একিন এবং ভরশা। হিশাব করলে দেখবেন, কাফি বদলা লওয়া হইছে, শকল পক্ষেই বেশুমার মরছে, শকল পক্ষই বেশুমার খুন করছে।

See also  //তাগুদি শাশন//

বিভাজনের রাজনিতির আরেকটা ইশু খুব শম্ভব জেন্ডার। এই ব্যাপারে শুরুতেই আমাদের শকল পক্ষের মাইনা নেওয়া উচিত জে, এইটা খুব ছেন্সিটিভ, ডেলিকেট একটা ইশু। এই ব্যাপারে জেই ইউএন এস্টান্ডার্ড আছে, শেইটা দেশের ৯৫% মানুশের মনের লগে মানানশই না। ফলে এইখানে বিভাজনের রাজনিতি খতম করার উপায় হইলো, পাবলিক আর পেরাইভেটের টেরিটরি ঠিক করা; পাবলিকলি কোন কোন নিশান উড়ানো জাবে না, শেই দাবি জখন ৯৫% করবেন তখন বাকি ৫%’র হক আদায় কেমনে করা জাবে, শেইটা আমলে নিতে হবে আমাদের–ডিউটি এবং হকের চুক্তি হইতে হবে একটা; এক পক্ষ পাবলিকলি কিছু করবে না বইলা ওয়াদা করবে, এমনকি পাবলিক দাওয়াতও দেবে না দরকারে, কিন্তু তার বদলে তাদের পার্ছোনালে উকি মারা জাবে না; ছোশাল এস্টান্ডার্ড এবং পার্ছোনাল পেরাকটিছের ফ্যাছাদ এড়াইতে হবে আমাদের, দরকারে আলাদা এস্পেছ বানাইয়া দিতে হবে আমাদের। এবং কিছু একটা জদি আপনে চান, কোন একটা মোরাল এস্টান্ডার্ডকে জদি এস্টাবলিশ করতে চান, পলিটিক্সে নামেন, নাগরিকদের কবুলিয়ত আদায় করেন, ইলেকশনে জিতাইয়া আনেন আপনার ইশতেহার, তারপর আইন বানান; কিন্তু আইনের বাইরে নাক গলায়েন না পিলিজ। জা কিছু বেআইনি না, তা করতে পারার হক রাখে নাগরিকেরা, এইটা শান্তির রাস্তায় থাকতে বেছিক ছোশাল চুক্তির গোড়ার কথা। এই চুক্তিটা মানতে হবে আমাদের। পাপ জিনিশটা বেক্তির উপর ছাড়েন, বেক্তি তার পাপের জবাব দেবে খোদার কাছে, বেক্তির পাপাচার মাত্রই কেরাইম না, তা কেরাইম হইয়া উঠতে পারে কখনো কখনো, ঐ ৯৫%’র নজরে, জদি শেইটার দাওয়াতি কায়কারবার চলে শমাজে–পাবলিক ছেলিব্রেশন ঘটে এবং শেই কেরাইম ঠেকাবার ছিস্টেমের নামই আইন। গায়ের জোরে ঠেলবেন না, আইনের ভিতরে থাকেন; আপনের মোরাল মেছেজ থাকলে দাওয়াত দেন, খবরদারি কইরেন না, এনফোর্ছ কইরেন না, এনফোর্ছ করলে আপনে নাগরিকদের গোলামিতে আটকাইতেছেন, ঐটা জুলুম, ইনছাফের খেলাপ। এমনকি ইছলাম জদি কারো এজেন্ডা, তার মানে তার এজেন্ডা হইলো শান্তি এবং জুলুম ঠেকাইয়া ইনছাফ কায়েম করাই হইলো শাচ্চা শান্তির শর্ত।

#রকমশাহেরনছিহত ২৮আগস্ট২০২৫

comment/ফতোয়া

Translate »