ফেছিজমের শম্ভাবনা: ডান-বামের পলিটিক্স আর পলিটিকেল বাশনায় ইছলাম

পলিটিকেল দুশমনি থাকবে এবং শেইটা চর্চাও কইরা জাইতেছে পাট্টিগুলা; কিন্তু এই ব্যাপারে পাট্টিগুলারে বেশ বেদিশা লাগে আমার, নিজেদের ইউএছপি’র ব্যাপারেও পাট্টিগুলার ভাবনা বেশ ঝাপশা! তাই দুয়েকটা টিপ্স দিতে চাই।

বাট শুরুতে ঐ ব্যাপারে পাট্টিগুলা বেদিশা থাকার দুয়েকটা কারন তালাশ করা উচিত। শবচে বড়ো কারনটা খুব শম্ভব এমন: পাট্টিগুলা আশলে হাসিনারে একজন ছাকছেছফুল পলিটিশিয়ান ভাবেন! ফলে হাসিনার পলিটিকেল ক্যালকুলেশনে ভরশা আছে ওনাদের, নিজেদের হেকমত ঠিক করতে হাসিনার মডেল এস্তেমাল করেন খুব শম্ভব!

কিন্তু হাসিনা কোন অর্থেই ছাকছেছফুল পলিটিশিয়ান না; বাংলাদেশ একটা ডেমোক্রেটিক রাশ্টো, এইখানে পলিটিক্সে কামিয়াব হইতে আপনার জদি খোদ ডেমোক্রেছিরেই মুলতবি করতে হয়, তারে তো কামিয়াবি বলবার উপায় থাকে না! হাসিনা ১০০% ফেলটুশ পলিটিশিয়ান, হাসিনার শকল ক্যালকুলেশন ভুল, জদি আপনে ডেমোক্রেটিক/ভোটের/ইলেকশনের পলিটিক্স করতে চান। খেয়াল করলে দেখবেন, খালেদা জখন ৫টা ছিটে জিতছিলেন, হাসিনা তখন ৩টায় ইলেকশন কইরা ২টায় হারছিলেন। অথচ এই হাসিনার ক্যালকুলেশনই ওনাদের বিচারে ঠিকাছে, আফছোছ! কিন্তু হাসিনার মডেল কোনটারে কইলাম? পড়েন নিচে।

ইলেকশন মুলতবি করবার পরেও হাসিনা এক কিছিমের পপুলারিটির দরকার বুঝতেন; তবে শেই পিপল মানে জেনারেল অর্থের ভোটার না, তার পিপল মানে পুচকে একটা গুশ্টি–বাংলা মিডিয়ামের, রঠাভক্ত–বাওয়ামি, চরম বাংগালি নেশনালিস্ট জাদের আখেরি মনজিল হইলো ‘অখন্ড ভারত’–বাংলাদেশের এই পুচকে গুশ্টিটাই হাসিনার পিপল। এই পপুলেশনের ছাইজ খুব শম্ভব ইমরান এইচ শরকারের লাইকার নাম্বারের শমান, ১৫ লাখ দেখলাম [এর লগে ৫/৭শ জোগ করবেন; এরা হইলো ধুরন্ধর আতেল-বয়াতি, জারা রিশতাটা রাখে তলে তলে, লাইকার লিস্টিতে নাম দেখাইয়া ব্যাপারটা পাবলিক না করার মতো চতুর আর কি 🙂 ]। এদের ভিতর পপুলার হইতে কি কি করতে হবে আপনার? কয়েকটা জিনিশ ভাবা জাইতে পারে:

ক. রাজকার বইলা গালি দিতে হবে। পাকিস্তানে চইলা জাইতে বলতে হবে, পাকিস্তান আইডিয়ারেই গালি দিতে হবে, ‘২ জাতি থিয়োরি’র নিন্দা জানাইয়া জিন্নারে গালি দিতে হবে।
খ. একটু পচ্চিমা এনজিও হইয়া ২ জন হিজড়ারে পোলা হিশাবে চাকরি দিয়া মিছা দাবি করতে হবে জে, ‘তিতিয় লিংগে’র মানুশকে চাকরি দিতেছেন। একটু ফেমিনিজম লাগবে; একটু পরিবেশ চিন্তা; একটু আট-কালচার। একটা ছেকুলার বাহানার ভিতর থাকতে হবে। তবে শুদখোর বইলা ইউনুসরে গালি দিলে পোবলেম নাই, বা খালেদার ভুরু বা শাড়ি কতো পাতলা, ঐ ব্যাপারে কিছু কইলে ঐ ফেমিনিজমের ঝামেলা হবে না, বরং বললেই আপনে ওনাদের ‘আশল ছেকুলার, ফেমিনিস্ট’ হইতে পারবেন।
গ. শোনার বাংলার গান গাইতে হবে, রঠারে বাংলার মার্ক্স ভাবতে হবে। নিখিল ভারতিয় কালচারের শরিকানা হাজির করতে হবে বাংগালি নেশনালিজমের ভিতর দিয়া।

তো, এইগুলা বলাবলি করলে কারা হাসিনারে ভোট দেবে না, শেইটা নিয়া হাসিনার কোন চিন্তা আছিলো না, কেননা, তারা তো হাসিনার পিপলের বাইরে, তাদের ভোটের কোন মামলাই নাই, ইলেকশন মুলতবি।

এখন, হাসিনার এই ক্যালকুলেশন আর পিপলের ডেফিনিশন/টেরিটরি দিয়া আপনে কি জেনারেল ইলেকশনের/ভোটের পলিটিক্স করতে পারবেন? আর করলে তার ফলই বা কেমন হবে?

এখনকার বাংলাদেশে মোট ১২.৩৭ কোটি ভোটার আছে, তাদেরকে আপনে জদি হাসিনার পিপল ঐ ১৫ লাখের বরাবর ভাবেন, হাসিনার তরিকাতেই পপুলার হইতে চান, কেমন হবে? আপনে ধরেন ঐ ১৫ লাখ ভোট পুরাটা পাইলেন, শেইটা দিয়া আপনে কি বাকি ১২.২২ কোটি ভোটারকে হারাইতে পারবেন? বিম্পি এই কামই করতেছে। ওদিকে, জামাত কি করতেছে? তারাও ঐ ১৫ লাখ মানুশেরেই পিপল ধইরা বইশা আছে, তাগো ডরে মন খুইলা কথা কয় না, বাকি ১২.২২ কোটি ভোটার জে ঐ ১৫ লাখের মন আর ভাবনা শেয়ার করে না, শেইটা ভাবে না তারা!

ফলে জামাতের উচিত হইলো, নিজেদের ইউএছপি লোকেট করা, ঐ ১২.২২ কোটি ভোটারদের কথা মাথায় রাইখা। ৭১ শালে তারা জে পাকিস্তান ভাংগার বিপক্ষে আছিলো, শেইটা লইয়া তাদের শরমিন্দা থাকার বদলে বরং ঐটারেই হাইলাইট করা উচিত, ঐটাই জামাতের ইউএছপি! একাত্তর শালের ব্যাপারে তাদের জারা মাফ চাইতে বলে, তারা আশলে জামাতের উপকারই করে, জামাতের ইউএছপি হাইলাইট কইরা দেয়! মানে হইলো, জামাত জে শরমিন্দা থাকে, তাতে জামাতের ভোট কমে, আবার তারে জারা মাফ চাইতে কয়, তারা জামাতের ভোট বাড়াইয়া দেয়! মানে জামাতিরা জামাতি না আশলে, বরং এন্টি-জামাতিরাই বড়ো জামাতি!

তো, জামাতের ইউএছপি হইলো এই জে, তারা পাকিস্তানরে একটা ডেমোক্রেটিক রাশ্টো বানাইতে চাইছে, তাদের পলিটিকেল পজিশন ছিলো এমন জে, পাকিস্তান একটা ডেমোক্রেটিক রাশ্টো হইলে পাওয়ারফুল হবে এবং ইনডিয়ার হুমকি শবচে ভালো মোকাবেলা করার ভিতর দিয়া মোছলমান বাংগালির ছিকিউরিটিও নিচ্চিত হবে। মোটের উপর, আইডিয়া হিশাবে পাকিস্তান ঔন করাই তার ইউএছপি, নট পাকিস্তান রাশ্টো, ছেরেফ আইডিয়া কিন্তু! পাকিস্তান রাশ্টো ঔন করলেও ইলেকশনে/ভোটে তেমন মুশকিল হবে না, মুশকিল হবে মোরাল গেরাউন্ডে; মানে পাকিস্তান রাশ্টো এখনো জদি ঔন করে, তাইলে তো রাশ্টো হিশাবে বাংলাদেশ শেইটা টলারেট করতে পারে না, ঠিক জেই কারনে বাংগালি নেশনালিজমও টলারেট করা উচিত হয় না বাংলাদেশের! দুইটাই তো রাশ্টো হিশাবে বাংলাদেশের জন্ন ছুইছাইডাল!

মানে আইডিয়া হিশাবে পাকিস্তান ঔন করার পরেও এখন বাংলাদেশের ছভ্রেইনটিতে একিন রাখার একটা রাস্তা লাগবে জামাতের। এইটা কিন্তু শোজাই; জামাত কইবে জে, বাংলাদেশ না থাকা মানে তো জামাতের নিজের জন্নই ছুইছাইডাল! মানে, বাংলাদেশ জদি পাকিস্তানের লগে মেলে তাইলে তো জামাত অতি পুচকে দল হইয়া পড়বে! ওদিকে, জামাত নিজেরে মেইনলি মোছলমান বাংগালির দল পরিচয় দেবে এবং অখন্ড পাকিস্তানে মোছলমান বাংগালি (মানে বাংলাদেশ জামাতের নিজেরাই তো…) বড়ো কোন পদ পাবে না, জামাতের বড়ো বড়ো নেতারা হঠাৎ পুচকে হইয়া পড়বে! এই জুক্তিগুলা পেশ করলে বেশ বিলিভেবল হবে জামাতের কথা। তার বাইরে, পাকিস্তানকে মেইনলি একটা মিলিটারি গভার্নড রাশ্টো হিশাবে দেখাবে জামাত–অখন্ড পাকিস্তান ভাংগা আর মোছলমান বাংগালির উপর জেনোছাইড চালানোয় পাকিস্তান মিলিটারিকে দায়ি করবে, লগে রাখবে পান্জাবি রেছিজম জেইটা এন্টি-ইছলাম; কিন্তু শে তো করে ডেমোক্রেছি, ফলে শে দাবি করবে জে, বাংলাদেশই তার আখেরি ভরশা! মানে বাংলাদেশ থাকলেই পাকিস্তানি/পান্জাবিদের কাছে মোছলমান বাংগালির দাম আছে, কিন্তু পাকিস্তানে ঢোকা মাত্রই মোছলমান বাংগালির ভিতর হিন্দুয়ানি, বাংলা ভাশার ভিতর হিন্দুয়ানি, মোছলমান বাংগালি হইলো পান্জাবি রেছিস্টদের কাছে ভেজাল মোছলমান! কিন্তু জামাত তাদের ইউএছপি বানাইছে ‘শৎ লোকের শাশন’, জেইটা বানাইয়া দিয়া গেছেন আশলে পেছিডেন জিয়া!

See also  ‘বিভাজনের রাজনিতি’

ওদিকে, জামাতরে জখন আওয়ামি ঢঙে, বাংগালি নেশনালিস্ট বন্দুক দিয়া ঘায়েল করা জাবে না, তখন বিম্পি বা এনছিপি কেমনে জামাতের পোরতি পলিটিকেল দুশমনি করবে?

এইখানে শুরুতেই একটা জিনিশ ঐ দুই দলের বুঝতে হবে: বাংগালি নেশনালিজম জামাতেরে ঘায়েল করতে জে বারবার পাকিস্তান ইশু টাইনা আনে, তার আরেকটা কারন আছে; শেইটা হইলো, তারা জে ইছলামোফোব, এবং ঐখান থিকাই এন্টি-জামাত, এইটা বেশ লুকাইয়া ফেলা জায় ৭১ টাইনা আনলে! ঐ ইছলামোফোবিয়াটা ছাড়তে হবে; বরং জামাতরে ঠিক ঐ ইছলাম ইশুতেই ঘায়েল করতে হবে! পাকিস্তান ইশু জে একদমই টানা জাবে না, তা না; টানা জাবে এবং টানতে হবে, এবং শেইটা করতে হবে জিন্নারে ভিলেন না বানাইয়াই! জিন্নারে ভিলেন বানাইলে খোদ আইডিয়া হিশাবে পাকিস্তানের নিন্দা করা হয়, জেই আইডিয়ার ভিতর দিয়া মোছলমান বাংগালিরে জাতি হিশাবে ইনডিয়ার কাস্ট ছিস্টেমের আন্ডারে চইলা জাইতে হয় নাই এবং আরামে গরু খাইতে পারছে! ফলে জিন্নারে ভিলেন বানানি হইলো বাংগালি নেশনালিস্ট, ঐটা করলে ভোট কমবে; জিন্না এবং তার হিস্ট্রিকেল টুরুথ হিশাবে ২ জাতি থিয়োরির নামে মোছলমান বাংগালির কালচারাল আজাদির লড়াইকে নিন্দা করলে আপনে ছেরেফ ঐ ইমরান শরকারের লাইকারদের ভোটই কনফাম করতে পারবেন, হাসিনার হিশাব মোতাবেক।

আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে জে, বাংলাদেশে এখন ‘পাকিস্তানপন্থি’ কোন গালি না আর, বরং আমজনতা ঐটারে তরজমা কইরা বোঝে জে, শে আশলে ‘এন্টি-ইনডিয়ান’; মানে আপনে জখন জামাতরে গালি দেবেন ‘পাকিস্তানপন্থি’ বইলা, দেশের মানুশের কাছে জামাতই শবচে বড়ো এন্টি-ইনডিয়ান হিশাবে পরিচিত হইতে থাকবে এবং তাতে দেশের ভোটের পলিটিক্সে আপনের কোন ফায়দা নাই, বরং মস্ত লোকশান! কেননা, ঐ ১২ কোটি ভোটারের ভিতর পপুলার হইতে হইলে শবচে বড়ো ‘এন্টি-ইনডিয়ান’ হইয়া উঠতে হবে খোদ আপনারেই।

জামাতরে ধরতে হবে তার ইতিহাশ-ভাবনার গলদ থিকা পয়দা হওয়া পলিটিকেল ডিছিশন জে কতোটা ভুল হয়, শেইখানে; তার লগে মওদুদির পলিটিকেল ফিলোজফির (থিও-ডেমোক্রেছি) ফ্যালাছি খোলাশা করতে হবে।

ইতিহাশে আমরা দেখতে পাইবো জে, জামাত পাকিস্তানপন্থি না, বরং উল্টা; হজরত মওদুদি কইতেছেন, “The establishment and birth of Pakistan is equivalent to the birth of a beast.”। পাকিস্তান কেন চাইতেছে হিন্দুস্তানি মোছলমান, শেইটা ঠিক বোঝেন নাই উনি, মডার্ন রাশ্টের বাস্তবতা বুঝবার বদলে উনি ‘মুছলিম নেশনালিজম’ পয়দা হবার নিন্দা করতেছেন; কিন্তু শেই মওদুদিই আবার জিন্নার নিন্দা করতেছেন জখন জিন্না ‘মুছলিম নেশনালিজম’ চর্চা করার বদলে পাকিস্তানকে একটা ইনছাফি ওয়েলফেয়ার এস্টেট বানাবার কথা কইতেছেন ১১ আগস্ট ১৯৪৭’র বক্তিমায়। বিপরিতে মওদুদির ছাজেশন জেইটা আছিলো, তার অর্থ খাড়ায় পাকিস্তান কেবল মোছলমানদের রাশ্টো (মুছলিম নেশনালিজম!) ।

জিন্নার লগে হজরত মওদুদির ফারাকটা এমন: বিটিশরা চইলা জাবার পরে একটা নন-ফেডারেল ইউনিয়ন হিশাবে ‘ভারত’ রাশ্টে মোছলমানরা মস্ত বিপদে পড়বে, পার্মানেন্টলি হিন্দুদের শাশনে চইলা জাবে, বাস্তবে জেইটা হবে কাস্ট-ছিস্টেমের আন্ডারে চইলা জাওয়া; ফলে শে হিন্দুস্তানি মোছলমানদের ছিকিউরিটি নিচ্চিত করতে পাকিস্তান চাইতেছেন; কিন্তু পাকিস্তানরে কেবল মোছলমানদের রাশ্টো বানানো জিন্নার টার্গেট না। কিন্তু হজরত মওদুদি কোনটাই বোঝেন নাই, বা না বোঝার ডিছিশন লইয়া ছিলেন; মজলুমের ছিকিউরিটি লইয়া চিন্তা করতে নারাজ হজরত মওদুদি, মর্ডান দুনিয়ায় জুলুমের আছান কেমনে হবে, শেই চিন্তার বদলে উনি থিয়োরির দুনিয়ায় আটকাইয়া গেছিলেন।

এই জে মজলুমের উপর হওয়া জুলুমের আছান চিন্তা না করা, এইটা মওদুদি এবং জামাতের পলিটিক্সে শকল জামানাতেই পাইবেন! কাস্ট ছিস্টেমের আন্ডারে মোছলমানরা কেমনে থাকবে, শেই চিন্তা জেমন করেন নাই, তেমনি জমিদারির জুলুমও বোঝে নাই জামাত বা তার নেতা, তারা জমিদারি উচ্ছেদের বিরোধিতা করছে।

জমিদারি রাখার পক্ষে হজরত মওদুদির জেই লজিক, শেইটা আবার পরে রাশ্টের আলাপে জাইয়া মানেন নাই নিজেই! মানে, জমিদারি রাখার ব্যাপারে উনি কইতেছেন, ইছলামে পেরাইভেট ঔনারশিপ পারমিটেড, জমিদারি উচ্ছেদ তার মতে ইছলামবিরোধি, কমুনিস্ট।
খেয়াল করেন, জমিদারির ব্যাপারে উনি মালিকানার পক্ষে আছেন; এখন ভাবেন তো, আপনে জদি একটা জমির মালিক হন, তাতে কি আছমানি বা খোদায়ি মালিকানা নাকচ করা হয়? না; মানুশের মালিকানা খনিকের, খোদায়ি মালিকানা অ্যাবছলুট। মানুশের এই খনিকের মালিকানায় আল্লার এজাজত আছে বইলাই চুরি একটা কেরাইম বা জাকাতের কানুন ফরমাইছেন আল্লায়। আবার অ্যাবছলুট মালিকানা আল্লার বইলাই জাকাতের হুকুম দেবার এখতিয়ার রাখেন উনি।

এই খনিকের আর অ্যাবছলুট মালিকানার ব্যাপারটা জমিদারির বেলায় আরামেই বুঝতে পারছেন হজরত মওদুদি, কিন্তু জমিদারি বিচারের বেলায় ইনছাফের গোড়ার কথায় খেয়াল রাখেন নাই; ১৭৯৩ শালের জেই জুলুমের উপর খাড়াইয়া আছে জমিদারি ছিস্টেম, জমিদারের ঐ আনজাস্ট পাওয়ার জেই বেশুমার জুলুম ঘটাইছে, শেই মজলুমেরা আর তাদের ওয়ারিশেরা কেমনে ইনছাফ পাবে? ওনার চিন্তায় এই গোড়ার গলদের কারনে ওনার থিয়োরি আপনারে (এবং ওনারে) জালেমের পক্ষে নিয়া গেছে! এই একই ঘটনা আমরা দেখছি একাত্তরে, তখনো উনি/জামাত জালেম-মজলুম হয়তো চেনেন নাই বা চেনার পরেও জালেম পক্ষ নিছেন!

ওদিকে, জমিনের মালিকানার ব্যাপারে জেমন খনিকের দুনিয়াবি আর অ্যাবছলুটের ফারাক এবং শম্ভাবনা বুঝলেন, শেইটাই আবার বুঝলেন না ছভ্রেইনটির ব্যাপারে! মর্ডান দুনিয়ায় একটা রাশ্টের জনগনের (নাগরিকদের) ছভ্রেইনটির জেই ভাবনা, শেইটারে ধইরা নিলেন খোদায়ি ছভ্রেইনটির পোরতি চ্যালেন্জ হিশাবে! কিন্তু ঐ মালিকানার মতোই ছভ্রেইনটির আইডিয়াও ছেরেফ এখতিয়ারের মামলা; এই ছভ্রেইনটি জে অ্যাবছলুট না, খনিকের দুনিয়াবি, শেইটা আলগোছে বুঝতে পারবো আমরা, জখন খেয়াল করবো জে, এই ছভ্রেইনটি ইনছাফের লিমিটের ভিতর বান্ধা; ছভ্রেইনটি থিকা জনগন ইনজাস্টিছের দিকে জাইতে পারবে না, ছভ্রেইনটির আখেরি মনজিলের নাম ইনছাফ। আমাদের খেয়াল করার ব্যাপার হইলো, মানুশ জেমন ইনছাফের দড়িতে বান্ধা, খোদা তেমন বান্ধা না, ইনছাফ তার উইল বা ইচ্ছা ছেরেফ এবং শেইটা শে জানাইছেন নিজেই এবং কখনো এমনও হইতে পারে জে, খোদায়ি ইনছাফ মানুশের আক্কেলে বুঝতেই পারবো না আমরা। ইনছাফ খোদায়ি উইল/ইচ্ছা বইলাই অ্যাবছলুট আর রাশ্টের নাগরিকদের ইচ্ছা লিমিটেড, খনিকের এই দুনিয়াবি ছভ্রেইনটি ইনছাফের শিমা পার হইয়া জুলুম ছুইতে পারবে না, ইনছাফের টেরিটরির বাইরে গেলে শেই ছভ্রেইনটি নাজায়েজ। তার বাইরে, এই আইডিয়া পয়দা হবার ইতিহাশও খেয়াল করা দরকার আমাদের; এইটা পয়দা হইছে রাজা-বাদশাদের নমরুদ হইয়া উইঠা জুলুম করতে থাকার জবাবে, টাইরানির জবাবে; বিপ্লবের ভিতর দিয়া খমতা বেক্তি বাদশার হাত থিকা দখল কইরা নিছে জনতা। ছভ্রেইনটির এই আইডিয়া অ্যাবছলুট খোদায়ি ছভ্রেইনটিকে চ্যালেন্জ করা না কোনভাবে, বরং উল্টা; কেননা, জনতা নামের জেই কালেকটিভ বাস্তবে শেইটা একটা আইডিয়া, জেইটা বেক্তির নমরুদ হইয়া ওঠা আটকাইয়া দেয়।

See also  লা শরিক আল্লা

হজরত মওদুদি খুব শম্ভব একটা ফান্ডামেন্টাল ব্যাপার খেয়াল করেন নাই; শেই কারনেই ছভ্রেইনটির আইডিয়া লইয়া কুয়াশায় পইড়া থাকা বাদেও শরিয়ত বা আইনের ব্যাপারেও থিয়োরেটিকেল গলদে পড়ছেন! উনি খেয়াল করেন নাই জে, রাছুলের পরে আল্লার লগে ডাইরেক কানেকশনের আর কোন শুতা নাই! ফলে দুনিয়ায় মানুশ হইলো হারাইয়া জাওয়া বাছুরের মতো, তার কেবল আক্কেল আছে, আর আছে আল্লা-রাছুলের কেতাব।

হজরত মওদুদি কইতেছেন, মানুশ আইন বানাইতে পারে না, শেই এখতিয়ার কেবল খোদার; ফলে উনি ‘আল্লার আইন [জামাতের পলিটিকেল মনজিল]’ চাইতেছেন রাশ্টে (পাকিস্তানে)। হজরত মওদুদি/জামাত তাইলে ‘মানুশের আইন’ আর ‘আল্লার আইন’ জুদা করতেছেন। এই ভাবনা মোতাবেক খেয়াল করেন, দুনিয়ায় তাইলে এমন কিছু ওনারা দেখতেছেন, জেইটা আল্লার না!

আবারো শেই মালিকানার ভাবনায় ফিরলে আমরা বুঝবো জে, জেই অর্থে মানুশ একটা ঘরের মালিক হইতে পারে, ঘরটা বানাইতে পারে, খুন করতে পারে, বেইনছাফি ঘটাইতে পারে, শেই অর্থে আইনও বানাইতে পারে; আবার এইগুলা খনিকের, কিন্তু অ্যাবছলুট অর্থে খোদায়ি।

ওদিকে, জেইটারে উনি আল্লার আইন কইয়া জুদা করতে চাইতেছেন, শেইটা জে তাই, তা আমাদের জানাবে কে, জখন কিনা, এটেস্ট/ ভ্যালিডেট করার মতো খোদায়ি কানেকশন রাছুলের পরে কারো থাকলো না আর!

আল্লায় মানুশও বানাইছে, শয়তানও বানাইছে, মানুশেরে দিছে আক্কেল। ভালোও আল্লার, খারাপের মালিকও আল্লা–ফেরেশতাও আল্লার, নমরুদও আল্লার। ফলে খারাপ আইনটাও আল্লার, জুলুমও পয়দা করছে আল্লা। ফলে হজরত মওদুদির ‘আল্লার আইন’ চাওয়া উচিত হয় না, তাতে ইনছাফের শম্ভাবনা পয়দা হয় না; আল্লারই পয়দা করা খারাপ আইন দিয়া টাইরানি কায়েম করার বদলে বরং আক্কেল এস্তেমাল কইরা ইনছাফ কায়েম করাই মানুশের ডিউটি। তাই ইনছাফের দরকারে আইন বানাইয়া নিতে মানুশের এখতিয়ারে খোদায়ি এজাজত আছে; এবং খোদায়ি এজাজত আছে বইলাই আল্লা মানুশেরে দুইটা মস্ত জিনিশ দিছে–বিবেক আর আক্কেল।

হজরত মওদুদির চিন্তারে বিচার-বিবেচনা করতে হবে আমাদের; মর্ডান দুনিয়ায় শবচে পাওয়ারফুল ইছলামি চিন্তা কইরা গেছেন হজরত মওদুদি; ফলে তার গলদগুলা বোঝা না গেলে তার আছর পড়া বা মোকাবেলায় পয়দা হওয়া শকল চিন্তায় শেই গলদের রিপ্রোডাকশন ঘটার মস্ত শম্ভাবনা আছে। হজরত মওদুদিরে শবচে পাওয়ারফুল কইলাম কারন, মর্ডান রাশ্টের পলিটিক্সে ইছলামি ভাবনা ঢুকাবার কির্তি পুরাটাই ওনার আশলে–মর্ডান রাশ্টো মোকাবেলা করায় মোছলমানদের রাস্তা দেখাইয়া গেছেন উনি; ওনার আগে মুছলিম লিগের মতো মোছলমানদের একটা পলিটিকেল দল বানাবার বেশি ইছলামি চিন্তার মওকা আছিলো না মর্ডান রাশ্টে! শেই বিবেচনায় জামাত বা চরমোনাই বা হিজবুত তাহরির–এরা শকলের উপরেই হজরত মওদুদির আছর আছে। পচ্চিমা চিন্তার লগে কিরটিকেল এনগেজমেন্ট হজরত মওদুদির আছে পাওয়া জাইতেছে না [সাইয়্যেদ জামাল উদ্দীন আফগানি’রে মনে করাইয়া দিতে পারেন অনেকে; কিন্তু মর্ডান রাশ্টো হজরত মওদুদির মতো হজম করতে রাজি হইতে পারেন নাই উনি, খুব শম্ভব।]। আমার হিশাবে ভাশানির রবুবিয়ত বা মজহারের রুহানিয়াতের আইডিয়াও পয়দা হইছে হজরত মওদুদির চিন্তারে মোকাবেলার দরকারে, ঠিক জতোটা পচ্চিমা চিন্তার মোকাবেলায়।

পুচকে আক্কেল লইয়া বড়ো কথা কইতেছি একটা–ইছলামিস্ট পলিটিক্সের মর্মের ব্যাপারে আমার আন্দাজ হইলো, ইছলামিস্ট পলিটিক্স জারা করেন এবং ইছলামিস্ট পলিটিক্স জারা পছন্দ করেন না–ঐ মর্ম দুই পক্ষই কিছু ভুল বোঝেন! ঘটনাটা বুঝাইতে এখনকার দুনিয়ার পলিটিকেল ভাগাভাগি লইয়া দুই কথা কইতে হবে আমার।

এখন পচ্চিমের দিকে ডান আর বাম–এই দুই ভাগে পলিটিক্সের একটা বোঝাবুঝি খাড়াইছে; আরো আগেই খাড়াইছে আশলে; আমাদের খালেদা জিয়ারও একটা কথা বেশ চালু আছে দেশে: আমরা (বিম্পি) ডানের বামে, আর বামের ডানে।

তো, এই ডান আর বামের ভাগাভাগি পয়দা হইতে শেই ফেরেন্চ রেভলুশন থিকা মার্ক্স হইয়া নিও-মার্ক্সিজম–এমন লম্বা একটা ইতিহাশ আছে; জারা ঐ ভাগাভাগি ইউজ করেন, তারাও জে ঘটনাগুলা ঠিকঠাক বুঝতেছেন, শেইটা মনে হয় না পেরায়ই! জেমন ধরেন, বাংলাদেশে বাম বইলা জারা পরিচিত, তাদের অনেকের লগে আলাপে আপনের খুব শম্ভব মনে হবে জে, তারা আদতে ‘বাংগালি নেশনালিস্ট’! অথচ নেশনালিজম বেশ একটা ডান ব্যাপার! এখনকার আমেরিকায় বামের হিশাবের ভিতর মার্ক্স ততো নাই আর, তারা বেছিকেলি ছোশাল ডেমোক্রেট–তারা এস্টেট মনোপলি চায় না, পেরাইভেট ঔনারশিপের বিরোধি না, পোরলেতারিয়েতের অটোক্রেছি চায় না, খোদ কমুনিজমই চায় না।

ছো, এই ডান বামের ভাগাভাগি করার বেলায় বরং ইছলাম আপনারে হেল্প করতে পারে! মানে, ডান হইলো ডিউটির পলিটিক্স, আর বাম হইলো রাইটছ্ বা হকের পলিটিক্স। মানে, ডানেরা কইতেছে জে, শকলে তার তার ডিউটি পালন করলে রাইটছ্ অটোমেটিক এস্টাবলিশ হবে; আর বামেরা কইতেছে, শকলের রাইটছ্ বা হক আদায় করলেই তো ডিউটি পালন হইয়া জাইতেছে! দুই পক্ষের কেউই ডিউটি বা হক–কোনটারেই বেহুদা ভাবে না। একটু এক্সামিন করি, নেশনালিজম কেন ডান? কারন, ঐটা নাগরিকদের ডিউটির গান গায়, নেশন/দেশের জন্ন নিজেরে কোরবানি দিতে কয়, মানুশের হক মুলতবি রাখে; খেয়াল করলে দেখবেন, একটা জাতি জখন পরাধিন, তখন কিন্তু তাদের নেশনালিজম নিজের হক আদায়ে ফাইট করে, ফলে তখন তারে বেশ বাম বাম লাগে! আর শাধিন হবার পরেই শেই নেশনালিজম হকের আলাপ বাদ দিয়া ডিউটির কথা কইতে থাকে কেবল, নেশনালিজম তখন হইয়া ওঠে জুলুমের পর্দা!

ইছলামিস্ট পলিটিক্সের মর্ম আমার মতে এই দুইয়ের মাঝামাঝি; কেননা, শমাজে-রাশ্টে মানুশের/নাগরিকদের ডিউটি আর হকের ভিতর ফয়ছালা করতে চায় ইছলাম–দুনিয়াবি পলিটিকেল অর্থে ইছলাম তাই শাচ্চা মদ্ধপন্থি।

এখনকার দুনিয়ায় ডান আর বামের একটা জেনারেল তারিফ বা ডেফিনিশন ঠিক পাইলাম না, তাই নিজেই দেবার ফিকির করলাম।

আমার এই ডেফিনিশনে ডিউটি এবং হক/রাইটছ্ দিয়া জেই ভাগাভাগি করলাম, তার দুয়েকটা দিক আরেকটু কিলিয়ার করতে হয়।

খেয়াল করেন, হক বা রাইটছ্ ব্যাপারটা পচ্চিম মোতাবেক রাশ্টের বিপরিতে বেক্তির পাওনা, কিন্তু ডিউটি’র ব্যাপারটা তাদের ডিফাইনিং টার্মিনোলজিতে পাই না তেমন। কিন্তু চোখা নজরে দেখলে বুঝবো জে, ডিউটির ভাবনার ছেন্টারে আছে শমাজ/কালেকটিভ। এই দুইটার রিশতা খুব শম্ভব এমন জে, বেক্তি আর শমাজ, এই দুইটার ভিতর ডায়ালেক্টিক্স/টেনশন আছে এবং নাগরিক ভোটাররা শমাজে জখন জেইটার ঘাটতি দ্যাখে, শেইটারে খমতায় পাঠায়।

See also  //তাগুদি শাশন//

ওদিকে, দুইটার একটা খুব জটিল মিলের পয়েন্ট আছে: দুইটাই চরমে গেলে আমরা পাবো ফেছিজম! জেমন ধরেন, নেশনালিস্ট পলিটিক্স হইলো ডিউটির পলিটিক্স এবং নেশনালিজম চরমে গেলে ফেছিজমে কনভার্ট করে নিজেরে! ওদিকে, রাইটছ্ ভাবনা চরমে গেলে কি হয় বা হবে? এইটা বোঝা একটু মুশকিল বটে: কেননা, জেনারেল ভাবনা খুব শম্ভব এমন জে, ঐটার চরম কোন রাশ্টেই এখনো দেখতে পাই নাই আমরা; ফলে আর কোন নিশানা দিয়া ফলাফল বোঝার ফন্দি বাইর করা দরকার!

এইখানে খেয়াল করা দরকার জে, মার্ক্সিজম কিন্তু শুরু হইতেছে লেবারের হক ডাকাতির নালিশ দিয়া, এবং মার্ক্সের ইশতেহার শেই হক/রাইট ফেরত পাইতে চায়, কেপিটালের কব্জা থিকা মুক্তি চায়; তাই এইটার বুনিয়াদ হইলো রাইটছ্; কিন্তু মার্ক্সের তরিকা মোতাবেক বানানো দুনিয়ার শকল রাশ্টেই শেই রাইটছ্ আখেরে ডিউটিতে কনভার্ট করছে নিজেরে এবং রাইটছ্ জিনিশটাই উল্টাইয়া গেছে অনেকটা! মানে ঐ রাশ্টোগুলায় রাইটছ্ মানে খাড়াইছে বেক্তির উপর রাশ্টের (কমুনিটি নামের কালেকটিভের বাহানায়) রাইটছ্, চরিত্রের দিক থিকা ঐ রাশ্টোগুলাই শবচে বড়ো কেপিটাল, একটা কর্পোরেশন জেইটা বেক্তিরে কতোগুলা ডিউটি দিয়া আটকাইতেছে। তার মানে, বাম থিকা শুরু হইয়া আখেরে শকল মার্ক্সিস্ট রাশ্টো আমার ডেফিনিশন বা তারিফ মোতাবেক ডানের দিকে হাটতে হাটতে ফেছিজমে হাজির হইতেছে! তাই হিটলার আর এস্টালিন হইয়া উঠতেছে বরাবর! হকের পলিটিক্স কখন জে ডিউটির পলিটিক্স হইয়া উঠলো, গায়ে লাগানো লেবেলের কারনে শেইটা আমাদের নজরেই পড়ে না পেরায়! ডিউটিরেই দেখাইতেছে হক হিশাবে; হকের বাহানায় ডিউটির এমন হাজির হওয়া কয়দিন আগেও দেখা গেলো ঢাকায়: মাইয়াদের হক আদায়ে একটা অর্গানাইজেশন দেখা গেলো জারা মাইয়াদের ডিউটি মনে করাইয়া দিয়া শেই ডিউটি পালন করারেই মাইয়াদের হক হিশাবে দেখাইতে চাইলো 🙂 ।

এনিওয়ে, ডান-বামের এই তারিফ মোতাবেক তাইলে আমরা বিএনপি এবং এনছিপি নামের দল দুইটারে বিচার করতে পারি এবং এই দুই দলের লগে পলিটিকেল দুশমনি কেমনে করা জাইতে পারে, শেই রাস্তা তালাশ করি এইবার।

বিএনপির নামের ভিতরেই নেশনালিজম আছে, শেই হিশাবে তারে ডান বইলা ট্যাগাইতে পারে কেউ। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখা দরকার জে, আমার তারিফ মোতাবেক এই ট্যাগানো এছেন্সিয়াল/জরুর খারাপ কোন ব্যাপার না, শমাজ-রাশ্টে ডিউটি আর হকের ভিতর কোনটার গুরুত্ত বেশি, শেই তর্কে পক্ষ বাইছা নেওয়া জাস্ট। তবে জিয়ার নেশনালিজমের ব্যাপারে জারা ওয়াকিবহাল, তারা জানেন জে, বিএনপির নেশনালিজম আশলে একটা ফয়ছালার ফিকির মাত্র– আগে থিকাই হাজির এবং ফ্যাছাদ করতে থাকা বাংগালি, মোছলমান, বিহারি, জুম্ম–এমন বহু নেশনালিজমের জবাব/ফয়ছালা/একমত হবার বিন্দু হিশাবে উনি একটা রাশ্টো-রিলেটিভ নেশনালিজম পোস্তাব করছেন মাত্র, নেশনালিস্ট হইতে হবে বইলা নেশনালিজমের নিশান উড়ান নাই। কিন্তু বিএনপি জদি এইটারে বেশি পুশ করতে চায়, তখন ঐটা বাংগালি নেশনালিজমের মতোই ফেছিস্ট হইয়া ওঠার শম্ভাবনা আছে–বিজেপির ইনডিয়ায় এখন জেমন ‘এন্টি-নেশনাল’ বইলা একটা কথা চালু হইছে, ‘ভারত মাতা কি জ্যায়’ আর ‘জ্যায়শ্রিরাম’ না কইলেই শে নাকি ‘এন্টি-নেশনাল’। ফলে বিএনপির লগে দুশমনির বেলায় তার নেশনালিজম আশলে ‘বাংগালি নেশনালিজম আন্ডার কাভার’–এমন নালিশ করা জাইতে পারে, তাদের ভিতর থাকা বাংগালি নেশনালিস্ট কিছু জিনিশ দেখাইয়া দেবার মওকাও আছে।

কিন্তু আশল দুশমনিটা করতে হবে তাদের অতি ঝাপশা পলিটিকেল পজিশন লইয়া; মানে বাংলাদেশ লইয়া তাদের কিলিয়ার কোন পলিটিকেল খোয়াব নাই। এইটা জদিও এক হিশাবে ভালো: খোয়াব না থাকা মানে একটা ফিক্সড আইডিয়াল না থাকা, ফেলেক্সিবল থাকে তখন; কেননা, ফিক্সড আইডিয়াল অতি ডিউটির দিকে টানে, ফেছিজমের দিকে চইলা চইলা জাবার শম্ভাবনা। মুছোলিনি-হিটলার থিকা এস্টালিন, খুবই ফিক্সড আইডিয়ালের (ফলে শৎ) শাশন।

ঝামেলা হইলো, জখন খোয়াব থাকে না, তখন জে কোন দিকেই জাইতে পারে, হাওয়া বুইঝা ছাতা ধরার মতো ব্যাপার ঘটে, ফলে পপুলিস্ট হবার শম্ভাবনা বাড়ে ( মোটামুটি ফর্মালি কোরোছফায়ার শুরু করে বিএনপি)। আরো বড়ো পোবলেম হইলো, পাট্টির কর্মিদের পলিটিকেল টেনিং থাকে না কোন, জে কেউ ভিড়তে পারে পাট্টিতে; তখন পাট্টি কনটোল করতে হইলে পাট্টির ভিতর ডেমোক্রেটিক থাকার উপায় থাকে না, ছোট্ট একটা টপ ছার্কেলে পাট্টির খমতা আটকাইয়া থাকে, পার্মানেন্টলি।

এ বাদে, বিএনপি ডেমোক্রেছি ইত্তাদির কথাও কয় জদিও, কিন্তু শেই ডেমোক্রেছির ছুরত কি, তা মোটেই কিলিয়ার না! মানে চায়নার ওয়ান-পাট্টি শাশনের ছিস্টেমকেও কিন্তু চায়না ‘পিপলছ্ ডেমোক্রেছি’ বইলা দাবি করে।

ওদিকে, এনছিপির কি খোয়াব আছে? এইটাও ঠিক কিলিয়ার না! এই দিক থিকা এনছিপি পলিটিকেলি বিএনপির কাছাকাছি; এনছিপির বাংলাদেশপন্থা কিভাবে বিএনপির বাংলাদেশি নেশনালিজম থিকা জুদা, শেইটাও কিলিয়ার না; তবে তাদের দাবি হইলো, তারা মদ্ধপন্থি! ছো, বিএনপির পোরতি দুশমনির ঢঙেই এনছিপির পোরতিও দুশমনি করার মওকা আছে–পপুলিজম ইত্তাদি ব্যাপারে।

তবে ইছলামিস্ট পলিটিক্স জারা করেন, তারা বিএনপি-এনছিপিরে অতি ওয়েস্টার্ন বইলা নিন্দা করতে পারে, নিজেদের দাবি করতে পারে শাচ্চা পোস্ট-কলোনিয়াল বইলা! ডিউটি এবং হকের ঝগড়ার শাচ্চা ফয়ছালা ইছলামেই আছে বইলা দাবি করবে তারা। ওয়েস্টার্ন ডেমোক্রেছি আদতে ইছলামেরই পারভার্টেড নকল কইরা দাবি করা শম্ভব; এমন জে, ওয়েস্ট ইছলামের পলিটিকেল ভাবনা নিয়াই ডেমোক্রেছি বানাইছে, ওয়েলফেয়ার এস্টেটের আইডিয়ার গোড়া তারা দাবি করবে আদি খিলাফতে! তারা কইবে জে, মর্ডান ওয়েস্টের পলিটিকিল ভাবনা ডিউটি আর হকের আইডিয়া নিছে ইছলাম থিকা, কিন্তু তারা ব্যাপারটা ঠিক বোঝে নাই, ফলে ভালো ফয়ছালা করতে পারে নাই, ফলে তারা ডান বা বামের দিকে এক্সট্রিমলি ঝুইকা পড়ে, ম্যানেজ করতে পারে না! উল্টাদিকে শেই ফয়ছালার রাস্তা দেখাইছে ইছলাম! মানে ইছলামিস্ট পলিটিক্সের অতি ডিফেন্সিভ হবার দরকার নাই আশলে, তারা মর্ডান পলিটিক্স জিনিশটারেই ইছলামি (কেননা, মর্ডান পলিটিক্স ডিউটি অথবা হকের আইডিয়া দিয়াই চলে) এবং শেইটা তারাই বেস্ট পারে বইলা দাবি করবে। বাহানা থিকা বাইর হওয়া উচিত তাদের, ডেমোক্রেছিরে ঔন কইরা তার উন্নয়নে কাম করার ইরাদা পেশ করবে তারা; হুশিয়ারির ব্যাপার হইলো, হকের বাহানায় অতি ডিউটির পলিটিক্স কইরা ফেছিজমের দিকে চইলা জাইতে পারে তারা, জেইটা ইছলামের মর্মের লগে মানানশই না ঠিক; কেননা, জদ্দুর বুঝি, দাওয়াত আর কবুলিয়তের ভিতর দিয়া কাম করার কথা ইছলামের, গায়ের জোরে না; কেননা, ইছলামি পলিটিক্স মানে হবার কথা জুলুম উৎখাত কইরা ইনছাফ কায়েম করা, ডিউটি আর হকের শালিশি করার ভিতর দিয়া শাচ্চা মদ্ধপন্থি হওয়াতেই ইছলামের মর্ম।।

//১৪-২৯আগস্ট২০২৫ #রকম_শাহের_নছিহত

comment/ফতোয়া

Translate »