১. বিচার ও জবাবদিহিতা
- ট্রুথ কমিশন গঠন করে অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতা ও দুর্নীতির তদন্ত। অতীতের ভুলভ্রান্তি অতিক্রম করে সামাজিক সংহতির বুনিয়াদ তৈরি করা।
- পাবলিক প্রসিকিউটর নির্বাচন: জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে; ভোট দেবেন চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষকসহ স্থানীয় নেতৃত্ব। নির্বাচিতরা/প্রসিকিউটররা সরকার কনট্রোলের বাইরে থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
- রিম্যান্ড সংস্কার: পুলিশ রিম্যান্ডের পরিবর্তে জেলগেটে ইন্টারোগেশন। প্রয়োজনে মিডিয়ার উপস্থিতিতে স্বচ্ছ জিজ্ঞাসাবাদ।
- বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপন।
২. অবকাঠামো ও পরিবেশ
- ঢাকার খাল উদ্ধার এবং সারা দেশে পানিপথ পুনরুজ্জীবন।
- গ্রামে খাল খনন ও উদ্ধার, বাঁধ কেটে ব্রিজ নির্মাণ, পানিপথ খোলা।
- খাল ব্যবস্থাপনা সমিতি: দুই পাড়ের বাসিন্দাদের নিয়ে সমিতি গঠন, খাল ইজারা ও মাছ চাষ।
- প্লাস্টিক টাইলস ও রিসাইক্লিং শিল্প গড়ে তোলা।
- প্রতিটি ওয়ার্ড/ইউনিয়নে কম্পোস্ট প্লান্ট স্থাপন।
- গোবরভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো।
- প্লাস্টিক দিয়ে উপকুলীয় এলাকায় খালের ভিতর ফ্লোটিং ডক বানানো। দুর্যোগে গবাদিপশুর শেলটার। দুর্যোগ ব্যতিত গ্রাম্য হাটের ব্যবস্থা।
- ভাসমান/হোমলেস নাগরিকদের জন্য ফ্লোটিং ভিলেজ বানানো।
৩. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
- সরকারি হাসপাতালে আধুনিক মেডিকেল মেশিন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ।
- গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু।
- মোবাইল হাসপাতাল ব্যবস্থা চালু।
৪. কৃষি ও গ্রাম উন্নয়ন
- কৃষকদের জন্য ছোট শিল্প প্লান্ট (কম্পোস্ট/ভার্মি/ব্লাক সোলজার এবং বায়োগ্যাস) স্থাপন।
- অর্গানিক কীটনাশকের ব্যাপক উৎপাদন ও বিতরণ।
- চা বাগানে মিনিমাম মজুরি। ঘর বানাতে রাশ্টের মদদ।
৫. গবেষণা, প্রশাসন ও স্বচ্ছতা
- প্রতিটি উপজেলায় গবেষণাভিত্তিক ডাটাবেইস গড়ে তোলা।
- ইউএনও ও ডিসিদের আমলনামা তৈরি করে পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ।
- জমির দলিল অনলাইনে প্রাপ্য করা; মোবাইল অ্যাপে নিজের নামে দলিল দেখা ও রেকর্ড সংরক্ষণ। জমি-জমার দলিলপত্রের জন্য জেলার বাইরে যাবার দরকার থাকবে না।
৬. নাগরিক অংশগ্রহণ ও অভিযোগ ব্যবস্থা
- অনলাইনে নাগরিক অভিযোগ প্ল্যাটফর্ম:
- স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা বা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
- মজুদদারি বা বাজার সিন্ডিকেটের খবর দেওয়া।
- এনোনিমাস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিরাপদে অভিযোগ জানানোর সুযোগ।
- কমিউনিটি লিডার: বিরোধ, ধর্মীয় ইস্যু বা সামাজিক সংকটে আগেভাগে তথ্য জানানো।
৭. শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান
- মসজিদ, স্কুল ও মাদ্রাসার গার্ডিয়ান কাউন্সিল স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত করে পরিচালনা।
৮. পরিবহন ও নৌপথ
- দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জাতীয় লঞ্চ-স্টিমার সার্ভিস।
- টঙ্গি থেকে সদরঘাট পর্যন্ত নদীপথ যাতায়াত ব্যবস্থা।
- নিরাপদ অটোরিক্সা ডিজাইন। মান বজায় রেখে ব্যাটারি উৎপাদন।
- সোলার নৌকা (কম খরচের পরিবহন) চালু।
৯. বিবিধ
- আন্তর্জাতিক চুক্তি মূল্যায়ন এবং পাবলিক মতামত নেবার প্রকাশ্য ব্যবস্থা।
- সিগনেচার ক্যাম্পেইনে ৫ লাখ নাগরিক কনসার্ন জানালে পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন এবং আলোচনা।
- সিভিল সার্ভেন্টদের পারফর্মেন্স ইভ্যালুয়েশন। সেবাগ্রহীতা নাগরিকরা রেটিং দেবেন। কারো ওভারঅল রেটিং ১০-এর ভিতর ৫-এর নিচে নামলে তার এমপ্লয়মেন্ট সাসপেন্ডেড হবে।
- শক্তিশালি কনজ্যুমার সোসাইটি নির্মাণ এবং প্রতি বছর নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ। প্রতিটি থানার সামনে কনজ্যুমার সোসাইটির অভিযোগ বক্স স্থাপন।
স্কুল-মাদ্রাসার রিটায়ার্ড শিক্ষকদের নেটওয়ার্ক তৈরি এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ। এই নেটওয়ার্ক থেকে জেলাভিত্তিক কমিটি তৈরি করে রাষ্ট্রের সকল দপ্তরে নাগরিকদের পক্ষে নজরদারির এখতিয়ার প্রদান। এনারা সিভিল সার্ভেন্টদের রেটিং দেবেন। নাগরিকদের দেওয়া রেটিং-এর সাথে এই কমিটিগুলোর রেটিং গড় করা হবে।

comment/ফতোয়া